
সালাউদ্দিনের কণ্ঠে লিটনের নেতৃত্বের প্রশংসা
খেলা ডেস্ক
২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:৩৮
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রথমবারের মতো হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ। রেকর্ড গড়া এমন জয়ের নেতৃত্ব দিয়েছেন লিটন কুমার দাস। নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল শান্তের পরিবর্তে এ সিরিজে অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব পালন করেছেন লিটন। তাতেই কোচ, বিশ্লেষক, ভক্তদের থেকে প্রশংসা কুড়িয়েছেন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
গতকাল ম্যাচশেষে লিটনের অধিনায়কত্ব নিয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। লিটনকে নিয়ে প্রশংসার ফুলঝুরি ফুটেছে তার কণ্ঠে।
সালাউদ্দিন বলেন, ‘অধিনায়কের কথা যদি বলেন অসাধারণ। গত বছর আমরা হয়ত কুমিল্লাতে লিটনকে অধিনায়ক প্রথমেই বানিয়েছিলাম। হয়ত এ নিয়ে আমাকে অনেক কথা শুনতে হয়েছে। কিন্তু আমি যখন কোন সিদ্ধান্ত নিই অনেক ভেবে-চিন্তে সিদ্ধান্ত নিই। কারণ একজন মানুষের চিন্তা-ভাবনা, খেলা সম্পর্কে ধারণা এবং খেলা সম্পর্কে কতটা দূরদর্শী এসব ভেবে কিন্তু আমি সিদ্ধান্ত নিই। আমার কাছে মনে হয়েছে সে অধিনায়ক হওয়ার মতো।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্বাভাবিক যখন খেলা চলে তখন সে খেলার চেয়ে ৩-৪ ওভার আগে থাকে। একজন অধিনায়কের সবচেয়ে বড় গুণ হচ্ছে খেলা থেকে আগে থাকে কিনা, সে বুঝতে পারে কিনা ঘটনা কি ঘটতেছে, দুই ওভার পরে কি ঘটনা ঘটতে পারে। আমার মনে হয় এটা ওর ভালো গুণ। আপনারাই দেখেছেন আমরা স্বল্প পুঁজিতে দুইটা ম্যাচ বের করছি এবং আজকেও যদি ফিল্ড সেটআপ থেকে শুরু করে বোলারদের ব্যবহার করা। অধিনায়কত্বের জন্য তার অসাধারণ একটা গুন আছে।’
লিটনের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সিরিজ জিতলেও ব্যাট হাতে সাদা বলের ক্রিকেটে বেশ বাজে সময় কাটিয়েছেন এ ব্যাটার। ওয়ানডেতে টানা ব্যর্থতার পর টি-টোয়েন্টি সিরিজ তিন ম্যাচে করেছেন মাত্র ১৪ রান। ব্যর্থতার বৃত্তে আটকে থাকা এ ব্যাটারকে নিয়ে অবশ্য চিন্তিত নন কোচ সালাউদ্দিন।
লিটনের ব্যাটিং নিয়ে তিনি বলেন, ‘দেখুন, যেকোন ব্যাটারের খারাপ সময় আসতেই পারে। টেকনিক্যালি ওর খুব একটা সমস্যা নেই। আমার মনে হয় এটা থেকে সে খুব তাড়াতাড়ি বের হবে। সে আমাদের বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ব্যাটার যেকোন ফরম্যাটেই বলেন। এটা খুব বেশি চিন্তা করারও বিষয় না, আমি এটা নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত না।’
সিনিয়র সহকারী কোচ বলেন, ‘ব্যাটিংটা নিয়ে আমি মনে করি ওতো চিন্তা করতে হবে না। কারণ যখন একজন ব্যাটার রান না করে সেটা খেলোয়াড়ের না যত খারাপ লাগে আমরা যারা সাথে কাজ করি তাদেরও অনেক খারাপ লাগে। এরকম খারাপ সময়ে মানসিকভাবে আর একটু রিল্যাক্স থাকলে ভালো খেলবে এবং এই সময় থেকে বেরিয়ে যাবে।’
এমআই