Advertisement
Us Bangla Airlines
বিপিএলে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের পাওয়া নিয়ে শঙ্কা

বিপিএলে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের পাওয়া নিয়ে শঙ্কা

খেলা ডেস্ক

০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭:১১

বিপিএলের জন্মলগ্ন থেকেই পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের উপস্থিতি টুর্নামেন্টে এনে দেয় বাড়তি রঙ। আফ্রিদি-মালিক যুগ থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক সাইম আয়ুব বা আবরার আহমেদ, প্রতিটি আসরেই তারা ছিলেন ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর বড় ভরসা। চলতি মৌসুমের নিলামেও বেশ কয়েকজন পাক তারকাকে দলে ভিড়িয়েছে বিভিন্ন দল।

তবে বিপিএল শুরুর আগেই তাদের পাওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে বড় শঙ্কা। ক্রিকেটবিষয়ক নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ জানিয়েছে, জাতীয় দলের ব্যস্ত সূচির কারণে পুরো মৌসুম জুড়ে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের পাওয়া অনিশ্চিত। ইতিমধ্যে ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্মকর্তারাও জানিয়েছেন, বিকল্প খুঁজতে শুরু করেছে দলগুলো।

২৬ ডিসেম্বর থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে বিপিএলের দ্বাদশ আসর। ঠিক এই সময়টাতেই পাকিস্তানের রয়েছে টানা দুটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ। প্রথমে জানুয়ারির মাঝামাঝি শ্রীলঙ্কা সফর, এরপর জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আরও একটি সিরিজ। 

বিপিএলের এক ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্মকর্তা ক্রিকবাজকে বলেন, ‘পুরো মৌসুমে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের পাওয়া যাবে না, এটা আমরা নিশ্চিত। তবে বিষয়টি মাথায় রেখেই আমাদের দল সাজানো হয়েছে।’

৭, ৯ ও ১১ জানুয়ারি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলবে বাবর আজমরা। এরপর থাকবে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি ক্যাম্প। জানুয়ারির শেষ দিকে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ শেষ করেই ফের শ্রীলঙ্কা যাবে দল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য, যা বসবে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত হাইব্রিড মডেলে।

এদিকে বিপিএলে ইতিমধ্যেই চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন সাইম আয়ুব, মোহাম্মদ নওয়াজ, আবরার আহমেদ, ফারহান, উসমান খান, ইমাদ ওয়াসিম, খুশদিল শাহসহ আরও বহু আলোচিত ক্রিকেটার। কিন্তু জাতীয় দায়িত্বের চাপ তাদের বড় অংশেরই পুরো মৌসুম খেলা কঠিন করে তুলেছে।

পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের পাওয়া নিয়ে পিসিবির এক কর্মকর্তা পরিষ্কার করে বলেছেন, ‘এনওসি দিচ্ছি না, এ কথা ঠিক নয়। যারা আবেদন করেছে তা বিবেচনায় রাখা হয়েছে। তবে জাতীয় দায়িত্ব থাকলে সেটাই অগ্রাধিকার পাবে। বিশ্ব ক্রিকেটেই এ নিয়ম।’

তবে আশার আলো একটুখানি আছে। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর ধারণা, শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে কিংবা দুটি সিরিজের মাঝের বিরতিতে কিছু পাকিস্তানি ক্রিকেটার মাঠে দেখা যেতে পারে। আর যারা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পরিকল্পনায় নেই, তারা হয়তো আরও বেশি ম্যাচ খেলতে পারবেন।

এমআই