Advertisement
Us Bangla Airlines
ডাবল সেঞ্চুরিতে সবার ওপরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ!

ডাবল সেঞ্চুরিতে সবার ওপরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ!

খেলা ডেস্ক

০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩:৪৫

টেস্ট ম্যাচের চতুর্থ ইনিংস মানেই ব্যাটারদের বড় চ্যালেঞ্জ। আধুনিক ক্রিকেটেও শেষ ইনিংস বা চতুর্থ-পঞ্চম দিনে ব্যাট করতে বেশ সংগ্রাম করেন ক্রিকেটাররা। কালো হয়ে যাওয়া শেষবেলার পিচে দাঁড়িয়ে ব্যাটের কারসাজিতে ডাবল সেঞ্চুরি করা চাট্টিখানি কথা নয়। টেস্ট ইতিহাসে অবিশ্বাস্য সেই কাজটাই করে দেখিয়েছেন বিশ্বের ৭ ব্যাটার।

চতুর্থ ইনিংসে দ্বিশতকের তালিকায় সবশেষ নাম জাস্টিন গ্রিভস। বিশ্বের সপ্তম ক্রিকেটার হিসেবে শেষ ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের শেষদিনে আজ অপরাজিত ২০২ রান করেছেন এই ব্যাটার। গ্রিভসের অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে নিশ্চিত পরাজয় এড়িয়েছে ক্যারিবিয়ানরা।

টেস্ট ক্রিকেটে চতুর্থ ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছেন বিশ্বের ৭ ব্যাটার। এর মধ্যে চারজনই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার। ১৯৩০ সালে প্রথম এই কীর্তি গড়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের জি. এ. হেডলি। এমনকি এই তালিকায় সবশেষ ৪ ব্যাটারের তিনজনই ক্যারিবিয়ান। একনজরে এই ৭ ব্যাটারের কীর্তি জানা যাক।

জি. এ. হেডলি (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
৩ এপ্রিল ১৯৩০ সালে কিংস্টনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪র্থ ইনিংসে ২২৩ রান করেছিলেন। বিশ্বের প্রথম ব্যাটার হিসেবে এই তালিকায় নাম লেখান জি. এ. হেডলি। সেই ইনিংসে তিনি ৩৯০ মিনিট ব্যাট করে ৩৮৫ বল খেলেছেন। তার ইনিংসে ছিল ২৮টি চার। স্ট্রাইক রেট ছিল ৫৭.৯২।

বিল এডরিচ (ইংল্যান্ড)
৩ মার্চ ১৯৩৯ সালে ডারবানে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪র্থ ইনিংসে ২১৯ রান করেন ইংলিশ ব্যাটার বিল এডরিচ। সেই ইনিংসে ৪৬০ মিনিট ব্যাট করে ২৫টি চার মারেন এই ব্যাটার। বলের সংখ্যা ও স্ট্রাইক রেট অবশ্য জানা যায়নি। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সেই ম্যাচে পিছিয়ে থেকেও ম্যাচ ড্র করে ইংল্যান্ড।

সুনীল গাভাস্কার (ভারত)
চতুর্থ ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি করা একমাত্র এশিয়ান ব্যাটার ভারতের সুনীল গাভাস্কার। ৩০ আগস্ট ১৯৭৯ সালে দ্য ওভালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪র্থ ইনিংসে ২২১ রান করেন তিনি। ৪৯০ মিনিট ব্যাট করে ৪৪৩ বল খেলেন; যেখানে ছিল ২১টি চারের মার। স্ট্রাইক রেট ছিল ৪৯.৮৮।

গর্ডন গ্রিনিজ (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
২৮ জুন ১৯৮৪ সালে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪র্থ ইনিংসে অপরাজিত ২১৪* রান করেন ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি গর্ডন গ্রিনিজ। ৩০২ মিনিটে ২৪২ বল খেলে ২৯টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন তিনি। স্ট্রাইক রেট ছিল ৮৮.৪২। শেষ ইনিংসে ৩৪৪ রান করে ইংলিশদের সেবার ৯ উইকেটে হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

নাথান অ্যাস্টল (নিউজিল্যান্ড)
১৩ মার্চ ২০০২ ক্রাইস্টচার্চে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪র্থ ইনিংসে ২২২ রান করেন কিউই তারকা নাথান অ্যাস্টল। ২৩১ মিনিটে ১৬৮ বল খেলে ২৮টি চার ও ১১টি ছক্কা মারেন। স্ট্রাইক রেট ছিল ১৩২.১৪। অ্যাস্টলের অবিশ্বাস্য ইনিংসের পরেও সেদিন ঘরের মাঠে ম্যাচটি জিততে পারেনি নিউজিল্যান্ড।

কাইল মায়ার্স (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
জয়ের আশা নিয়ে চতুর্থ দিন শেষ করেছিল বাংলাদেশ। সেই আশায় গুঁড়োবালি ছড়িয়েছেন কাইল মায়ার্স। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ সালে চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৪র্থ ইনিংসে অভিষেকেই অপরাজিত ২১০* রান করেন। ৪১৫ মিনিটে ৩১০ বল খেলেন; ছিল ২০টি চার ও ৭টি ছক্কা। স্ট্রাইক রেট ছিল ৬৭.৭৪।

জাস্টিন গ্রিভস (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
প্রথম ইনিংসে ১৬৭ রানে অলআউট, দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৫৭! চতুর্থ ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করার পেছনের কারিগর জাস্টিন গ্রিভস। আজ (২ ডিসেম্বর) ক্রাইস্টচার্চে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪র্থ ইনিংসে অপরাজিত ২০২* রান করেন তিনি। ৫৬৪ মিনিট ব্যাট করে ৩৮৮ বল মোকাবিলা করেন এবং ১৯টি চার মারেন।

এমআই