Advertisement
Us Bangla Airlines
মুশফিককে আহত করা সেই ভারতীয় পেসারের অবসর ঘোষণা

মুশফিককে আহত করা সেই ভারতীয় পেসারের অবসর ঘোষণা

খেলা ডেস্ক

১০ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩:০৪

ভারতীয় ফাস্ট বোলার বরুণ অ্যারনকে মনে আছে? ২০১৪ সালে মুশফিককে বিমার মেরে বেশ সমালোচনার জন্ম দিয়েছিলেন এ পেসার। বরুণের ওয়ানডে ক্যারিয়ারটা এরপর আর দীর্ঘায়িত হয়নি। ২০১৪-তেই সবশেষ পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেট খেলেছেন এ বোলার। জাতীয় দলের জার্সিতে নিজের সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন প্রায় দশ বছর আগে। ব্যাঙ্গালুরে ২০১৫ সালে আফ্রিকার সাথে টেস্ট ম্যাচ খেলার পর আকাশী নীলদের জার্সিতে আর দেখা যায়নি তাকে।

জাতীয় দলে না খেললেও ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত খেলছিলেন বরুণ অ্যারন। গুজরাট টাইটান্সের হয়ে আইপিএল জিতেছেন প্রতি ঘণ্টায় ১৫০ কিমি গতিতে বল করা এ ফাস্ট বোলার। কলকাতার হয়েও আইপিএল খেলেছিলেন বরুণ। যদিও চলতি বছরে আইপিএলে কোনো দল পাননি তিনি। বয়স, চোট আর অন্যান্য কারণে এবার সব ধরণের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন এ ক্রিকেটার। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে বরুণ লিখেছেন, ‘গত ২০ বছর ধরে আমি জোরে বল করার জন্য বেঁচেছি। নিজেকে ক্রমাগত উন্নত করার চেষ্টা করে গিয়েছি। আজ আন্তরিক কৃতজ্ঞতার সঙ্গে সমস্ত রকম প্রতিনিধিত্বমূলক ক্রিকেট থেকে বিদায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানাচ্ছি। জোরে বল করা আমার প্রথম ভালোবাসা। যেদিন আমি প্রথম মাঠে পা দিয়েছিলাম, সেদিন থেকে এটাই আমার জীবনের অংশ ছিল।’

তবে চোট-আঘাতের সমস্যা বারবার তাঁকে ভুগিয়েছে। ২০১০-১১ সালে বিজয় হাজারে ট্রফিতে প্রতি ঘণ্টায় ১৫০ কিমি গতিতে বল করেছিলেন তিনি। ভারতীয় দলে অভিষেক হয় ২০১১ সালে। কিন্তু চোটের জন্য নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি। তিনি লিখেছেন, ‘বছরের পর বছর ধরে আমি নিজের শারীরিক ও মানসিক সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করার চেষ্টা করেছি। যদিও চোট-আঘাতের সমস্যা জীবনের অঙ্গ ছিল। যে ফিজিও, ট্রেনার ও কোচেরা আমার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন, তাঁদের আমি ধন্যবাদ জানাই।’

ভারতের জাতীয় দলের জার্সিতে ৯টি টেস্ট ম্যাচে ১৮টি উইকেট পেয়েছিলেন বরুণ। এছাড়া ৯টি ওয়ানডেতে তাঁর উইকেট সংখ্যা ১১। ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলেও ছিলেন এ ক্রিকেটার। আইপিএলে নাইট রাইডার্স, দিল্লি ডেয়ারডেভিলস, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, গুজরাট টাইটান্সের মতো দলে খেলেছেন তিনি। 

বাইশ গজে গতির ঝড় তোলা বরুণ অ্যারন টাইগার ভক্তদের কাছে পরিচিত ভিন্ন কারণে। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা ওয়ানডে ম্যাচে বিমার ছুঁড়ে সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি। মুশফিকের কাছে পাঁচ বলে ১৭ রান হজম করার পর শেষ বলে ইচ্ছাকৃত বিমার করে বসেন এ ফাস্ট বোলার। 

বাংলাদেশের অধিনায়কের শরীর বরাবর ছোঁড়া সেই বিমার আঘাত করে মুশফিকের পাঁজরে। মুহূর্তেই মাটিতে পড়ে গেছিলেন মুশফিক। ভারতের ডানহাতি বোলারের এমন নেতিবাচক বোলিংয়ে স্তব্ধ হয়ে পড়েছিল ক্রিকেটপ্রেমীরা। এমনকি কোমরের ওপরের উচ্চতায় দুটো ডেলিভারির কারণে সেই ইনিংসে নিষিদ্ধ করা হয় বরুণের বোলিং।

এমআই