Advertisement
Us Bangla Airlines
৭ বোলারের অবদানে সহজেই জিতল দুর্বার রাজশাহী

৭ বোলারের অবদানে সহজেই জিতল দুর্বার রাজশাহী

খেলা ডেস্ক

১০ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:৪৯

শেষ ওভারে দরকার ৩৫ রান। তাসকিনের প্রথম বলে সিঙ্গেল আদায় করতে পেরেছিল হাসান মাহমুদ। বাকি ৫ বলে পাঁচটি ছক্কা হাঁকালেও জেতার সুযোগ নেই খুলনার টাইগার্সের। কিন্তু সালমান ইরশাদ পুরো ওভার খেলতে পারলেন কই! তাসকিনের বাউন্সারে ওভারের তৃতীয় বলে মিড অফে সোহাগ গাজীর হাতে ক্যাচ দেন তিনি। তাতে ২৮ রানের ব্যবধানে ম্যাচটি জিতে নেয় বিজয়ের দল।

চলতি আসরের দুর্বার রাজশাহীর এটা দ্বিতীয় জয়। এর আগে গত ২ জানুয়ারি ঢাকাকে হারিয়েছে এনামুল হক বিজয়রা। তবে জয়ের দেখা পেলেও পয়েন্ট তালিকায় পদোন্নতি হয়নি ইজাজ আহমেদের শিষ্যদের। আসরের দুই জয় এবং তিন হার নিয়ে পয়েন্ট তালিকার পাঁচে আছে তাসকিন-বিজয়দের দল। রাজশাহীর উপরেই আছে মিরাজদের দল।

এদিকে খুলনার বিপক্ষে আজ (শুক্রবার) টসে হেরে শুরুতে ব্যাটিং করে দুর্বার রাজশাহী। রায়ান বার্ল এবং ইয়াসির আলীর চল্লিশোর্ধ ইনিংসে ১৭৮ রানের মাঝারি পুঁজি পায় দলটি। জবাবে রাজশাহী থেকে ২৮ রান দূরে থেকেই সব উইকেট হারায় খুলনা টাইগার্স। তাতে আসরের প্রথম হার দেখল মেহেদী মিরাজের দল।

জয়ের দিনে ব্যাট হাতে ভালো শুরু পায় দুর্বার রাজশাহী। দুই ওপেনার মোহাম্মদ হারিস এবং জিসান আলমের কল্যানে উদ্বোধনীতে ৪৪ রানের জুটি পায় দলটি। যদিও নাসুমের বলে হারিস আউট হওয়ার অল্প রানেই আরও ৩ উইকেট হারায় বিজয়ের দল। তবে ব্যাটিং বিপর্যয়ে দলের হাল ধরেন ইয়াসির আলী চৌধুরী এবং রায়ান বার্ল। দুজনের কার্যকরী ব্যাটিংয়ে ঘুরে দাঁড়ায় রাজশাহী। 

তাসকিনকে দলে ভেড়াতে চায় দুই দল

যদিও ২৫ বলে ৪১ রানে থামেন ইয়াসির আলী। অন্যদিকে বার্ল শেষ পর্যন্ত টিকে থাকেন ২৯ বলে ৪৮ রান করে। শেষ দিকে ক্রিজে নামা আকবর আলী ৯ বলে ২১ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন। খুলনার হয়ে বল হাতে ২টি উইকেট নেন নাসুম আহমেদ। এছাড়া মিরাজ, রনি, নাওয়াজ পেয়েছেন একটি উইকেট। 

রাজশাহীর ১৭৮ রান তাড়া করতে গিয়ে শুরুতেই বিপর্যয়ের মুখে পড়ে খুলনা টাইগার্স। আগের ম্যাচে ফিফটি হাঁকানো উইলিয়াম বেসিসস্টো প্রথম ওভারেই নিজের উইকেট বিলিয়ে দেন। মিরাজ-নাইমের মন্থর ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতে পিছিয়ে পড়ে খুলনা। প্রথম ৬ ওভারে এসেছিল মাত্র ৩৪ রান।

বিপিএলে এসে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি পেলেন অজি ব্যাটার

ডট বল খেলার মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন আফিফ হোসেনও। মাঝে মাহিদুল অঙ্কণ এবং ইমরুল কায়েস কিছু লড়াইয়ের চেষ্টা করলেও তারাও ফিরেছেন স্বল্প রান করে। শেষদিকে নাসুম আহমেদের ব্যক্তিগত ১৮ রান কেবল ব্যবধানই কমিয়েছে খুলনার। তাতে ১৯.৩ ওভারেই ১৫০ রানে অলআউট হয়ে যার মিরাজের দল।

খুলনার পরাজয়ের দিনে বল হাতে উজ্জ্বল ছিলেন রাজশাহীর বোলাররা। দুই পার্টটাইম বোলার জিসান, মেহরাবকে দিয়ে ৮ ওভার করিয়েছেন এনামুল হক বিজয়। দলের প্রয়োজনে ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছেন তারা। অবশ্য রাজশাহীর হয়ে হাত ঘুরানো ৭ বোলারই পেয়েছেন উইকেটের দেখা। তাসকিন, রায়ান বার্ল, সোহাগ গাজীর ২ উইকেটের পাশাপাশি জিসান, মেহরাব, মৃত্যুঞ্জয় এবং শফিউল পেয়েছেন একটি করে উইকেট।

এমআই