
লজ্জার রেকর্ডে কেনিয়ার সঙ্গে ভাগ বসাল পাকিস্তান
খেলা ডেস্ক
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২:২২
নিয়মরক্ষার ম্যাচে বাইশ গজে নিয়মটা ফলাতে পারেনি পাকিস্তান। বাংলাদেশের বিপক্ষে এই ম্যাচটা পড়েছে বৃষ্টির কবলে। ফলে শূন্য হাতেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফির এবারের আসর শেষ করতে হয়েছে বাবর আজমদের। ব্যর্থতার টুর্নামেন্ট শেষ করার দিনে লজ্জার রেকর্ডে নাম বসিয়েছে পাকিস্তান দল। যেখানে কেনিয়ার সঙ্গী হয়েছে সালমান-রিজওয়ানেরা।
১৯৯৬ সালের পর প্রথমবারের মতো আইসিসি টুর্নামেন্ট আয়োজনের সুযোগ পায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। কিন্তু স্বাগতিক দেশ হয়েও কোনো ম্যাচ জিততে পারেননি শাহিন আফ্রিদিরা। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসে দ্বিতীয় আয়োজক দেশ হিসেবে কোনো ম্যাচ না জেতার লজ্জার রেকর্ড গড়েছে পাকিস্তান।
এর আগে ২০০০ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে কোনো ম্যাচ না জিতেই বিদায় নিয়েছিল কেনিয়া। স্বাগতিক দেশ হিসেবে সেবারের আসরে মাত্র একটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিল আফ্রিকার দলটি। ‘আইসিসি নকআউটস’ নামের সেই টুর্নামেন্টে ভারতের সঙ্গে উদ্বোধনী ম্যাচে ৮ উইকেটে হেরেছিল মালভূমির দেশ কেনিয়া।
দীর্ঘ ২৫ বছর পর কেনিয়াকে লজ্জার রেকর্ড থেকে দায়মুক্তি দিল পাকিস্তান। স্বাগতিক দেশ হিসেবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে তিন ম্যাচের কোনো ম্যাচই জিততে পারেনি তারা। কিউইদের বিপক্ষে ৬০ রানে পরাজয়, ভারতের বিপক্ষে ৬ উইকেটের হারের পর বাংলাদেশের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটি বৃষ্টির কাছেই জলাঞ্জলি দিয়েছে পাকিস্তান।
আয়োজক দেশ হিসেবে টেবিলের তলানিতে থেকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শেষ করার রেকর্ড আছে দক্ষিণ আফ্রিকার। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের গ্রুপে ছিল প্রোটিয়ারা। কিন্তু এক জয় নিয়ে সেবারের আসরের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয় জ্যাক ক্যালিসরা।
স্বাগতিকদের মধ্যে সেরা পারফরম্যান্স শ্রীলঙ্কার। ২০০২ সালে যুগ্মভাবে শিরোপা জিতেছিল তারা। কলম্বোতে টানা ২ দিন বৃষ্টির পর পূর্ণ খেলা মাঠে না গড়ানোয় শিরোপা ভাগাভাগি হয় ভারতের সঙ্গে। সেটিই এখন পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে একমাত্র যুগ্ম চ্যাম্পিয়নের ঘটনা।
এমআই