
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে এত ছক্কা আগে দেখেনি কেউ!
খেলা ডেস্ক
০৫ মার্চ ২০২৫, ২০:৫৩
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির চলতি আসরের আয়োজক পাকিস্তান। বাবরদের দেশ মানেই রানের ফুলঝুরি। করাচি, লাহোরে সেই চিত্রই দেখা মিলেছে। তবে হাইব্রিড পদ্ধতিতে এই টুর্নামেন্ট আয়োজিত হওয়ায় ভারত নিজেদের সব ম্যাচ খেলেছে দুবাই স্টেডিয়ামে। নিচু ও মন্থর গতির পিচ হওয়ায় সেখানে অবশ্য মাঝারি মানের স্কোর দেখা গিয়েছে।
আগামী ৯ মার্চ দুবাইয়েই ফাইনাল ম্যাচের মাধ্যমে সমাপ্তি টানবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির এবারের আসর। তবে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ শুরুর আগেই ছক্কার নজির গড়েছে ক্রিকেটাররা। অতীতের সব রেকর্ড তছনছ করে দিয়ে চলতি আসরে সবচেয়ে বেশি ছক্কা হাঁকিয়েছে তারা। দ্বিতীয় সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল ম্যাচের আগেই এমন নজির দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির চলতি আসরে এখন পর্যন্ত ১১টি ম্যাচ সম্পন্ন হয়েছে। তাতেই ১১৫টি ছক্কা মেরেছেন ক্রিকেটাররা। যা এই টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ড। এর আগে ২০১৭ সালে ১৫টি ম্যাচে ক্রিকেটাররা মেরেছিলেন ১১৩টি ছয়। এবার দুই ম্যাচ হাতে রেখেই অতীতের রেকর্ড ছাপিয়ে গেছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির চলতি আসর।
আইসিসির মিনি বিশ্বকাপ খ্যাত এই টুর্নামেন্টের চলতি আসরের সবচেয়ে বেশি ছয় মেরেছেন আফগান ক্রিকেটাররা। ইব্রাহিম-ওমরজাইয়ের ব্যাটে চড়ে ২৩টি ছক্কা হাঁকিয়েছে আফগানিস্তান। যেখানে সবচেয়ে বেশি ছক্কা হাঁকিয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার আজমতউল্লাহ ওমরজাই। তিন ইনিংসে ৪২ গড়ে ব্যাট করা এই ডানহাতি ছক্ক হাঁকিয়েছেন ৮টি।
আফগানদের পর ছক্কা হাঁকানোর তালিকায় যুগ্মভাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া। দুটো টিমের ক্রিকেটাররা এখন অবধি টুর্নামেন্টে ১৯টি করে ছক্কা মেরেছেন। তবে টুর্নামেন্টটিতে দুই ম্যাচ খেলা বাংলাদেশ ছক্কা হাঁকিয়েছে মোট ৯টি।
১৯৯৮ সালে প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশে হওয়া উদ্বোধনী আসরে দেখা গিয়েছিল ৪২টি ছক্কা। এরপর ২০০০ সালে ৫৮টি, ২০০২ সালে ৪৮টি, ২০০৪ সালে ৫৭টি, ২০০৬ সালে ৫৪টি, ২০০৯ সালে ৯২টি, ২০১৩ সালে ৬৮টি, ২০১৭ সালে ১১৫টি ছক্কার মার দেখেছে ভক্তরা। ছক্কার সংখ্যা এবার সব আসরকে ছাড়িয়েছে চলমান টুর্নামেন্ট।
এমআই