বার্সেলোনা একাডেমি থেকেই প্রশিক্ষণ পেয়েছিলেন লামিনে ইয়ামাল। সেই বার্সার হয়ে এত অল্প বয়সে রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়ছেন এই স্প্যানিশ ফুটবলার। মাত্র ১৭ বছর বয়সী লামিনের সঙ্গে এখনই মেসি, নেইমার, রোনালদোদের তুলনা হয়। অনেকে আবার এই ছোট্ট লামিনেকে দেখছেন কিংবদন্তির কাতারে।

ফুটবল পাড়ায় লামিনেকে নিয়ে এত আলোচনা তার নিখুঁত শট আর খেলার ধরণের কারণে। চোখ ধাঁধানো গোল আর অ্যাসিস্টে ইতোমধ্যেই ফুটবল বোদ্ধাদের মন কেড়েছেন লামিনে ইয়ামাল। পাশাপাশি ট্রফি আর খেতাবে অর্জনের খাতা করেছেন ভারি।

মাত্র ১৭ বছর বয়সে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছেন লামিনে ইয়ামাল। হয়েছেন সেরা উদীয়মান ফুটবলার। ক্লাব ফুটবলে বার্সেলোনার হয়ে এখন পর্যন্ত জিতেছেন লা লিগা, কোপা দেল রে ও সুপার কাপ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বার্সার হয়ে গোল করা এবং করানোতে অবদান রেখেছেন এই স্প্যানিশ।

দলের সঙ্গে লামিনে থাকলেই দল যে বাড়তি শক্তি পায়, তা সংবাদ সম্মেলনে বহুবার জানিয়েছেন বার্সেলোনার কোচ হ্যান্সি ফ্লিক। এবার তরুণ এই ফুটবলারকে কিংবদন্তি বনে যাওয়ার পথ বাতলে দিয়েছেন তিনি। স্প্যানিশ গণমাধ্যম মুন্দো দেপোর্তিভোতে এ কথা জানান বার্সা কোচ।

হ্যান্সি ফ্লিক বলেন, ‘যখন আপনি মেসি, রোনালদোদের স্তরে যেতে চাইবেন তখন আপনাকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। ইয়ামাল তাদের স্তরে যেতে পারবেন কিনা সেটা সময় বলে দিবে। আমরা সত্যিই খুশি যে সে আমাদের সঙ্গে খেলছে। ১৭ বছর বয়সে তাকে এই স্তরে দেখা অবিশ্বাস্য।’

কিংবদন্তির কাতারে যাওয়ার পরামর্শে বার্সা কোচ বলেন, ‘এই স্তরে থাকতে হলে তাকে নিয়মিত কঠোর পরিশ্রম করে যেতে হবে। সম্ভবত আরও ভালো হতেও পারে। আমি মনে করি এটিই সে চায়।’
 
লা লিগার জনপ্রিয় ক্লাব বার্সেলোনার হয়ে ইতোমধ্যে ১০০ ম্যাচ খেলেছেন লামিনে ইয়ামাল। এরমধ্যে ২২ গোল করার পাশাপাশি ৩৩টি গোল করিয়েছেন তিনি। পরিসংখ্যানের হিসাবে লামিনের ধারে কাছেও নেই মেসি বা রোনালদো। এমন কি আর্জেন্টিনাকে ১৯৮৬'র বিশ্বকাপ জেতানো ম্যারাডোনাও লামিনের পেছনে রয়েছেন।

এমআই