বাংলাদেশের হয়ে জুনেই খেলতে আসছেন সামিত সোম। লাল-সবুজের জার্সিতে খেলতে গতকাল ফিফা থেকে সবুজ সংকেত পেয়েছেন কানাডার এই প্রবাসী ফুটবলার। গত মার্চে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয়েছিল হামজা চৌধুরীর। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এই ফুটবলারকে দেখেই বাংলাদেশের হয়ে খেলতে আসছেন সামিত।

মাস কয়েক আগেও বাংলাদেশ ফুটবল পাড়ায় খুব একটা পরিচিত ছিলেন না  সামিত সোম। কিন্তু কানাডার জাতীয় দলে খেলা এই ফুটবলার বাংলাদেশকে নিয়ে মোটামুটি ধারণা রাখছেন। কারণ, সামিতের বন্ধুই বাংলাদেশের জাতীয় ফুটবল দলে বেশ কিছুদিন ধরে খেলছেন। কিন্তু কে সেই বন্ধু?

বাংলাদেশ জাতীয় দলে ইতোমধ্যে একাধিক ম্যাচ খেলছেন আরেক কানাডিয়ান প্রবাসী ফুটবলার কাজেম শাহ। শৈশবে সামিত সোমের সঙ্গে কানাডার একই প্রদেশে বসবাস করেছেন এই ফুটবলার। এমনকি সাউথ ওয়েস্ট উইনাইটেড ক্লাবে একত্রে ফুটবল খেলেছেন তারা।

১৯৯৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন সামিত সোম। একবছর পরেই জন্ম নেন কাজেম শাহ। উভয় ফুটবলার সমবয়সী হওয়ায় বন্ধুর মতোই বেড়ে ওঠেছেন। এমনকি একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনাও করেছেন এই দুই কানাডিয়ান ফুটবলার। এবার দুই বাল্যবন্ধু একত্রে বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন। 

সামিত সোমের বাংলাদেশে আসা নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত কাজেম শাহ। তিনি বলেন, ‘ক্যালগেরিতে আমাদের ও সামিতদের বাসা একেবারে কাছাকাছি। আমরা দুই জনই সাউথ ওয়েস্ট উইনাইটেড ক্লাবে ছিলাম। ওর জন্ম ১৯৯৭, আমার ১৯৯৮। ও ৯৭ ব্যাচের সঙ্গে ছিল আমি ৯৮ ব্যাচের সঙ্গে ছিলাম। আমরা একে অন্যকে বেশ ভালোভাবেই চিনি।’

কাজেম বলেন, ‘আমাকে লিগে ভালো খেলে জাতীয় দলে আসতে হবে। অনুশীলনে ভালো করে একাদশে বা ম্যাচ খেলতে হবে। আশা করছি আমরা দুজন শিগগিরিই একসঙ্গে বাংলাদেশ দলে খেলব।’

সামিতের ফুটবল দক্ষতা নিয়ে কাজেম আরও বলেন, ‘সে অনেক ভালো কোয়ালিটির খেলোয়াড় এজন্য সে কানাডা জাতীয় দলে খেলতে পেরেছে। আমি বাংলাদেশে এসে (প্রিমিয়ার লিগে) খেলছি এই বাস্তবতা মানতেই হবে।’ 

শুধু খেলা নয়, পড়াশোনাতেও অসাধারণ ছিলেন সামিত সোম। কানাডায় ফুটবলে সর্বোচ্চ স্তরে খেলার পাশাপাশি প্রকৌশল নিয়ে পড়াশোনাও করেছেন তিনি। কাজেম বলেন, ‘আমরা দুই জনই আলবার্টা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি। খেলার জন্য পরবর্তীতে সে মন্ট্রিয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছে। সবচেয়ে বড় বিষয় কানাডা জাতীয় দলে যখন সে খেলে তখন সে প্রকৌশলীর মতো বিষয় পড়ছিল।’

জাতীয় দলে সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার হিসেবে খেলেছিলেন কাজেম শাহ। সবশেষ ভারত সফরের প্রাথমিক স্কোয়াডেও ছিলেন এই মিডফিল্ডার। তবে ইনজুরির কারণে ২৩ জনের স্কোয়াড ঘোষণার সময় বাদ পড়েন তিনি। তবে প্রিমিয়ার লিগে ভালো পারফর্ম করলে আবারও লাল-সবুজের জার্সিতে ফিরবেন কাজেম শাহ। তাতে বাল্যবন্ধুর সঙ্গে তাকে একত্রে মাঠ মাতাতে দেখা যাবে।

এমআই