
বিনামূল্যে ২ হাজার বল পাচ্ছে বাফুফে, সাশ্রয় দেড় কোটি!
খেলা ডেস্ক
১৯ মে ২০২৫, ২০:১০
ফুটবলে ম্যাচ, অনুশীলনের জন্য প্রচুর বল কিনতে হয় বাফুফের। এতে ফেডারেশনের বছরে দেড় কোটি টাকার বেশি ব্যয় হয়। এবার বল খাতে ব্যয় কমাতে জাপানি কোম্পানি মলটেনের সঙ্গে তিন বছরের সমঝোতা সই করেছে বাফুফে। চুক্তি অনুযায়ী, সংস্থাটি থেকে প্রতি বছর বিনামূল্যে ২ হাজার বল পাবে ফেডারেশন। তাতে সাশ্রয় হবে বড় অঙ্কের টাকা।
বাফুফের সহ-সভাপতি ও বিপণন কমিটির চেয়ারম্যান ফাহাদ করিম বলেন, ‘মলটেন আমাদের প্রতি বছর ২ হাজার বল বিনামূল্যে প্রদান করবে। বাকি দুই হাজার বল নির্ধারিত দামের চেয়ে আরো সাশ্রয়ী মূল্যে প্রদান করবে। এতে প্রতি বছর আমাদের ৫০ লাখ টাকা সাশ্রয় হবে যেটা তিন বছরে প্রায় দেড় কোটি টাকা।’
বাফুফে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের আর্থিক সহায়তার খাত থেকে বলের পেছনে ব্যয় করত। এখন বলের পার্টনার পাওয়ায় সেই অর্থ অন্য খাতে ব্যয় করার পরিকল্পনা করছে।
‘বল থেকে আমাদের ৫০ লাখ টাকা সাশ্রয় হওয়ায় এখন অন্য ক্রীড়া সামগ্রীতে সেটা ব্যয় হবে। এএফসির সঙ্গে আমাদের এটি আলোচনা চলছে। আমাদের সভাপতি তাবিথ আউয়াল দায়িত্ব নেয়ার পর দেখেছেন ফিফা-এএফসির অনুদানের অর্থ কোথায় কত ব্যয় হয় এবং সেটা কীভাবে অন্য মাধ্যমে কমিয়ে এনে অন্যভাবে ব্যয় করা যায়’, বলেন ফাহাদ।
Molten Corporation is now the official football partner of the Bangladesh Football Federation (BFF)! BFF...
Posted by Bangladesh Football Federation on Monday, May 19, 2025
২০২৪ সালে বাফুফে তিন হাজারের বেশি মলটেন বল কিনেছিল। বাফুফের ট্যাকনিক্যাল বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বাফুফের বছরে ৪ হাজার বল ব্যবহারযোগ্য। এরপরও যদি বেশি সংখ্যক বল প্রয়োজন হয় সেটা বাফুফে চাইলে অন্য কোম্পানির থেকে কিনতে পারে। এতে মলটেনের কোনো বাধা বা শর্ত নেই।
এদিকে বাফুফে প্রথমবারের মতো ফুটবল পার্টনার পেয়েছে। অন্য পার্টনারদের মতো মলটেনকে বাফুফে বিভিন্ন বোর্ডে স্থান প্রদান করবে।
মলটেন ছাড়াও এডিডাসসহ আরো অনেক বিশ্বমানের বল প্রস্ততকারী কোম্পানি রয়েছে। অন্য সব প্রতিষ্ঠানের পরিবর্তে মলটেনকে বেছে নেয়ার কারণ সম্পর্কে বাফুফের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘৪-৫ টি কোম্পানির সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। বলের ক্রয়মূল্য অন্য কোম্পানিগুলোও প্রায় একই বলেছিল। তাদের কেউ কেউ বিনামূল্যে পাঁচশ বা সর্বোচ্চ ১ হাজার পর্যন্ত বল দিতে রাজি ছিল। মলটেন বিনামূল্যের সংখ্যা দেড় হাজার থেকে পরবর্তীতে দুই হাজার করেছে।’
এমআই