সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ-ভুটান ছিল ঘটনাবহুল। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও হ্যাটট্রিক করে বাংলাদেশকে জিতিয়েছেন শান্তি মারডি। কিংস অ্যারেনার অনুশীলন মাঠে দ্বিতীয়ার্ধ হওয়ায় আর আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন হয়নি। তিন গোল করা শান্তি মারডিকে নিয়ে গণমাধ্যমের আগ্রহ ছিল ব্যাপক। 

বাফুফে সরাসরি শান্তি মারডিকে গণমাধ্যমের সামনে আনেনি। এমনকি শান্তি মারডির বক্তব্য নিজেরাও মিডিয়ায় সরবারহ করেনি। বাফুফের ফেসবুক পেজে শান্তি মারডির প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছে।

বাংলাদেশের ফুটবলে এখন সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তি ঋতুপর্ণা। সাফ অনূর্ধ্ব-২০ দলের হ্যাটট্রিক গোলদাতা শান্তি মারডি তার রোল মডেল ঋতুপর্ণা চাকমাকে আখ্যায়িত করেছেন। ঋতুপর্ণার মতো শান্তির ভবিষ্যত লক্ষ্য, ‘অনেক বড় খেলোয়াড় হতে চাই।’ সারা বিশ্বের মধ্যে তার প্রিয় ফুটবলার মেসি।

শান্তি মারডি নামটা একটু ব্যতিক্রম। বাফুফে পেজে প্রতিক্রিয়া তিনি জানিয়েছেন তার বাবা এই নাম রেখেছেন। দুই ভাই, দুই বোন, বাবা-মায়ের পাশাপাশি তার দাদী রয়েছেন। তার বাবা কৃষি কাজ করেন। কালকের হ্যাটট্রিক নিয়ে তার প্রতিক্রিয়া, ‘অনেক খুশি হয়েছি হ্যাটট্রিক করেছি। সর্বপ্রথম ধন্যবাদ দিই সৃষ্টিকর্তাকে।’

মেয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছে। তাই খেলার পর বাবার কাছ থেকে ফোন পেয়েছেন। তবে তার বাবা হ্যাটট্রিক মুহুর্তটি দেখতে পারেননি, ‘বাবা ফোন করছে খেলা দেখছে হাফ টাইমের আগে। পরে আর দেখতে পারেনি। বলছে ভালো খেলছি।’

শান্তি তার এই পর্যায়ে ফুটবলার হওয়ার গল্পটা বললেন এভাবে, ‘আমার ফুটবল শুরু জেলা পর্যায়ে প্রাইমারি লেভেল খেলা দিয়ে। লাইজু স্যার ও বিপুল স্যারের অবদান রয়েছে।' বাফুফের ক্যাম্পে আসার বিষয়ে বলেন, ‘বিকেএসপিতে একটি টুর্নামেন্ট ছিল। সেখানে অনন্যা ম্যাডাম ও লিটু স্যার ছিলেন সেখান থেকে বাফুফে ক্যাম্পে আসা।’

এমআই