Advertisement
Us Bangla Airlines
শিরিনকে হারিয়ে দ্বিতীয়বার জাতীয় চ্যাম্পিয়ন সুমাইয়া

শিরিনকে হারিয়ে দ্বিতীয়বার জাতীয় চ্যাম্পিয়ন সুমাইয়া

খেলা ডেস্ক

২২ আগস্ট ২০২৫, ১৯:৪১

জাতীয় অ্যাথলেটিক্স মানেই টাইমিং ও ফলাফল নিয়ে বিতর্ক। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পরদিনই আজ (শুক্রবার) ১৭তম জাতীয় সামার অ্যাথলেটিক্সেই সেটার পুনরাবৃত্তি ঘটল। অন্যতম আকর্ষণীয় ইভেন্ট ১০০ মিটার নারী স্প্রিন্টে ফলাফল নিয়ে বিতর্ক ও অপেক্ষা। 

সুমাইয়া দেওয়ান নাকি শিরিন আক্তার কে প্রথম– এ নিয়ে প্রায় ঘণ্টা দুয়েকের অপেক্ষা। ইলেকট্রনিক টাইমিংয়ে সুমাইয়া ১২.১৯ সেকেন্ড আর শিরিন আক্তারের ১২.২১। শিরিন এই ফলাফল মানতে নারাজ। তার দাবি, ‘আমি স্পষ্টভাবে প্রথম হয়েছি। আগে ফিনিশিং করেছি। ফটোফিনিশিং দেখার অধিকার অ্যাথলেটের রয়েছে। আমি সেটা দেখতে চাই।’

শিরিন তার সংস্থা নৌবাহিনীর কোচ ও কর্মকর্তাকে নিয়ে ফটোফিনিশিংয়ের সামনে যান। সেখানে বিচারকদের পাশাপাশি ফেডারেশন সেক্রেটারি শাহ আলম উপস্থিত ছিলেন। ফেডারেশন সেক্রেটারি শিরিনের উদ্দেশে বলেন, ‘আগে ফলাফল ঘোষণা হবে, কারও আপত্তি থাকলে সেটা পরবর্তীতে দেখা যাবে।’

১০০ মিটার নারী স্প্রিন্টার দ্রুততম মানবীর খেতাব নিয়ে গণমাধ্যমের আগ্রহ অনেক। প্রায় দুই ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা হচ্ছিল না। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদককে সাংবাদিকরা ঘিরে ধরলে ফলাফল শিট দেখান, সেখানে ১২.১৯ সেকেন্ডে সুমাইয়াকে প্রথম এবং ১২.২১ সেকেন্ডে শিরিন আক্তারকে দ্বিতীয় দেখা যায়। 

ইলেকট্রনিক টাইমিংয়ে শিরিন ০.০২ সেকেন্ড পিছিয়ে। ফটোফিনিশিং সাধারণত দুইজনের একই টাইমিং হলে প্রয়োগ করা হয়। অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক এবং টেকনিক্যাল কর্মকর্তা কিতাব আলী বলেন, ‘দশমিক শূন্য দুই ব্যবধানে একজন প্রথম, আরেকজন দ্বিতীয় হয়েছে। এত সূক্ষ পার্থক্য ফটোমেশিন ছাড়া সম্ভব নয়।’ 

জাতীয় ও সামার মিলিয়ে ১৬ বার দ্রুততম মানবী শিরিন আক্তার। সুমাইয়া দেওয়ানের কাছে নিজের খেতাব হারানোটা স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেননি শিরিন। তবে বিকেএসপির সাবেক শিক্ষার্থী সুমাইয়া এবারই প্রথম দ্রুততম মানবী হননি। এর আগেও তার ১০০ মিটারে প্রথম হওয়ার কৃতিত্ব রয়েছে। তখনও তিনি শিরিনকেই হারিয়েছিলেন।

এমআই