Advertisement
Us Bangla Airlines
অভিষেককে যেভাবে খুঁজে পেয়েছিলেন যুবরাজ সিং

অভিষেককে যেভাবে খুঁজে পেয়েছিলেন যুবরাজ সিং

খেলা ডেস্ক

২২ এপ্রিল ২০২৫, ১৫:১৩

আইপিএল থেকেই উত্থান হয়েছিল অভিষেক শর্মার। সানরাইজার্স হায়দারাবাদের হয়ে গেল আসরে রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়েছেন তিনি। পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে অভিষেকের রেকর্ড গড়া ১৪১ রানের ইনিংসের পরই আলোচনায় আসেন যুবরাজ সিং। ভারতের বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এই ক্রিকেটারের সহচার্যেই বড় হয়েছেন অভিষেক।

খেলার ধরনেও যুবরাজের সাথে মিল আছে অভিষেক শর্মার। দুজনেই বাঁহাতে ব্যাট করেন এবং স্পিন বল করেন। অর্থাৎ ক্রিকেটীয় রোল অনুযায়ী উভয়ই অলরাউন্ডার। যদিও অভিষেক শর্মা ওপেনার এবং যুবরাজ মিডল অর্ডারে ব্যাট করতেন। শিষ্যকে গুরুর খুঁজে পাওয়ার গল্প শোনালেন যুবরাজের বাবা যোগরাজ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে যোগরাজ জানান, পাঞ্জাবের বিভিন্ন বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে অভিষেকের পারফরম্যান্স নজরে আসে যুবরাজের। এরপরই তিনি পাঞ্জাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (পিসিএ) কাছ থেকে অভিষেকের পরিসংখ্যান চেয়ে পাঠান। অভিষেককে সেখানে শুধুমাত্র একজন বোলার হিসেবে বর্ণনা করা হয়।

যোগরাজ বলেন, ‘যখন আমরা পিসিএ এবং কোচদের কাছে অভিষেক শর্মার পারফরম্যান্সের তালিকা চাই, তখন বলা হয়? “স্যার, ও একজন বোলার। সে বল করে।” তখন যুবি বলল, “তোমরা ওর পারফরম্যান্সের রেকর্ড ভালো করে দেখো।” যখন আমরা রেকর্ড দেখি, তখন অভিষেকের নামের পাশে ২৪টি সেঞ্চুরির তথ্য ছিল। এটা ছিল ছয়-সাত বছর আগের কথা।’

ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনে মত্ত ছিলেন অভিষেক শর্মা। পার্টি, রাত জাগা আর প্রেমিকা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন এই ওপেনার। তবে অভিষেককে শৃঙ্খলার শিকলে আবদ্ধ করেন যুবরাজ সিং।

যোগরাজ সিং বলেন, ‘রাত জাগা পার্টি... প্রেমিকা... তখন কী হল? যুবরাজ বলল, “ওকে (অভিষেক শর্মা) তালাবন্দি করুন।” ও তখন যুবরাজের অধীনে চলে আসে, কারণ ওর বাবা আর সামলাতে পারছিলেন না। যুবরাজ চিৎকার করে বলল, “তুই কোথায় আছিস?” আমি শুনলাম ও চিৎকার করছে। “রাত ৯টা বাজে, ঘুমোতে যা। বুঝেছিস? আমি আসছি।”

এরপর ফোনটা দিয়ে অভিষেক শর্মা নিজেই ঘুমিয়ে পড়ল। তারপর যুবি বলল তার বাবাকে, ‘ওকে ভোর ৫টায় উঠিয়ে দিও।’

নিয়ন্ত্রিত জীবনে আসার পর অভিষেক হয়ে ওঠেন গোলা বারুদ। বর্তমানে ভারত জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ অভিষেককে প্রায়ই ব্যাট হাতে ঝড় তুলতে দেখতে যায়। এমনকি আইপিএলেও তার ব্যাটের প্রলাপ শোনা যায় নিয়মিত।

এমআই