গত বছরের আগস্টে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক পদে আসীন হয়েছিলেন ক্রিকেট কোচ ও বিশ্লেষক নাজমূল আবেদীন ফাহিম। দায়িত্ব নেওয়ার পর বিসিবির একগাদা সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন তিনি। এরপর শুনিয়েছেন সংস্কারের গল্প। কীভাবে দেশের ক্রিকেটের উন্নতি করা যায়, সেই রূপরেখা সাজানোর কথাও জানিয়েছেন তিনি।

দায়িত্ব নেওয়ার পর ফাহিম দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের অবকাঠামো পরিবর্তনের কথা জানিয়েছেন। এতে ক্লাব কর্তাদের দুর্নীতির হার অনেকটা কমে আসার কথাও বলেছেন তিনি। কিন্তু সেসব নিয়মেই ক্লাব কর্তাদের আপত্তি দেখা গিয়েছে। এমনকি তারা সংবাদ সম্মেলন করে এই ক্রিকেট গুরুর পদত্যাগও চেয়েছিলেন।

ফাহিমের সংশোধনী প্রস্তাবে বলা হয়, বিসিবির সাধারণ পরিষদে ক্যাটাগরি-২ তে সিসিডিএমভূক্ত ৭৬ ক্লাব থেকে মোট ৭৬ জন কাউন্সিলর কমিয়ে ৩০ জনে নামিয়ে আনতে হবে। বিসিবির কার্যনির্বাহী কমিটিতে ৭৬ জন কাউন্সিলের মধ্য থেকে এখন যে ১২ জন পরিচালক নির্বাচিত হন সেখানেও সংখ্যাটা কমিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছে ফাহিমের কমিটি। 

১২ জন পরিচালক থেকে ৪-এ নামিয়ে আনতে প্রস্তাব দিয়েছেন নাজমূল আবেদীন ফাহিম। এমনকি ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিটনকে (সিসিডিএম) বিলুপ্ত করার প্রস্তাবও রাখা হয়েছিল সেই সংশোধনীতে। এবার সেই সিসিডিএমের দায়িত্ব পাচ্ছেন নাজমূল আবেদীন ফাহিম। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু।

গতকাল (বুধবার) গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মিঠু জানান, ‘আমাদের কনভেনার এনামুল হক মনি রিজাইন করেছে। সিসিডিএমের সঙ্গে আলাপ হলো যে নতুন একজনকে এপোয়েন্ট করতে। সিসিডিএম বলেছে নাজমুল আবেদীন ফাহিম ভাইকে (নিতে)। তিনি টেকনিক্যাল কমিটির কনভেনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।’

দায়িত্ব নিয়ে পুনরায় ফাহিম সিসিডিএমভূক্ত ক্লাবগুলোকে আবার পরিবর্তনের আলাপ শোনান কি না, সেটাই দেখার বিষয়। এমনকি বিসিবির সাবেক এই কোচ দায়িত্বে বসায় ক্লাবগুলোর কতটা চক্ষুশূল হয়ে ওঠেন, সেটাও বিসিবিকে আমলে নিতে হবে।

এমআই