
টি-টোয়েন্টিতে এমন ফাইনাল ম্যাচ আগে দেখা যায়নি
খেলা ডেস্ক
২৬ মে ২০২৫, ১২:১৭
শেষ দুই ওভারে প্রয়োজন ছিল ৩১ রান। কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের বোলিংয়ের দায়িত্বে তখন মোহাম্মদ আমির। বাঁহাতি ফাস্ট বোলারের ওভারটা দেখে নিয়েছেন কুশাল পেরারা। সেই ১৮ রান নিয়ে শিরোপা জয়ের অনেকটা কাছে লাহোর কালান্দার্স। তাতে শেষ ওভারে লাহোরের প্রয়োজন ছিল ১৩ রান।
দুর্দান্ত ফর্মে থাকা কুশল আর সিকান্দার রাজার কাছে ১৩ রান ব্যাপার ছিল না। কিন্তু বাউন্সার আর স্লোয়ারে ফাহিম আশরাফ তার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন। তাতে সমীকরণ দাঁড়ায় তিন বলে ৮ রান। ওভারের চতুর্থ বলে সবচেয়ে কঠিন শটটাই হয়তো খেলেছেন রাজা। ফুলার লেন্থের বলটাকে ডিপ পয়েন্টের ওপর দিয়ে গ্যালারিতে পাঠিয়েছেন।
সমীকরণের চাপ কমে ২ বলে ২ রানে দাঁড়ায়। রাজা শিরোপার রাজত্ব দখলে যুদ্ধের ময়দানে শেষ খেলটা দেখালেন। মিড উইকেটের গ্যাপ গলিয়ে বল সীমানার বাইরে। তাতে এক বল হাতে রেখে ফাইনাল ম্যাচ জয়ের পাশাপাশি তৃতীয় ট্রফির ভাগিদার হলো লাহোর কালান্দার্স।
শিরোপা জয়ের দিনে বিশ্বরেকর্ডও গড়েছে রাজা-রিশাদের দলটি। ফাইনাল ম্যাচে দুই শতাধিক রান তাড়া করে ম্যাচ জিতেছে। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ফাইনালে এত রান তাড়া করে কখনো শিরোপা জিতেনি কোনো দল। এর আগে এই রেকর্ড ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সে দখলে।
২০১৪ আইপিএলের ফাইনালে কিংস ইলাভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে ঠিক ২০০ রান তাড়া করেছিল শাহরুখ খানের দল। ভারতের বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত সেই ফাইনালে আগে ব্যাট করে ১৯৯ রান স্কোরবোর্ডে তুলেছিল পাঞ্জাব। বিপরীতে ৩ বল বাকি থাকতে ২০০ রান স্পর্শ করে কলকাতা।
এমআই