Advertisement
Us Bangla Airlines
উইকেট শিকারের শীর্ষে থেকেই পিএসএল শেষ করলেন রিশাদ

উইকেট শিকারের শীর্ষে থেকেই পিএসএল শেষ করলেন রিশাদ

খেলা ডেস্ক

২৬ মে ২০২৫, ১৩:১৭

লাহোরের একাদশে তিন বাংলাদেশি ক্রিকেটার, তবে ফাইনাল ম্যাচে ছিলেন কেবলই রিশাদ। বাংলাদেশি লেগিকে কেন দলে রাখা হয়েছে, তা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। কিন্তু শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে খুব একটা ভালো করতে পারেননি এ লেগ স্পিনার। প্রত্যাশার ম্যাচে বল হাতে বেশ খরুচে ছিলেন তিনি।

ফাইনালে কোয়েট্টা গ্ল্যাডিয়েটর্সের বিপক্ষে চার ওভারে ৪২ রান খরচায় মাত্র ১ উইকেট শিকার করেছেন রিশাদ হোসেন। লঙ্কান ব্যাটার আভিষকার উইকেট পেয়েছেন এই বোলার। তাতে পিএসএলে খেলা নিজের প্রথম আসরে সাত ম্যাচে ১৩ উইকেট নিয়ে মৌসুম শেষ করেছেন টাইগার লেগস্পিনার।

পিএসএলে খেলা কোনো বাংলাদেশি ক্রিকেটারের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের রেকর্ডটা আগেই দখল করেছিলেন রিশাদ। ফাইনাল ম্যাচের মাধ্যমে সেই রেকর্ডটা একান্তই নিজের নামে লিখে নিয়েছেন তিনি। সাকিবের সামনে রিশাদকে টপকানোর সুযোগ ছিল। কিন্তু পিএসএলে এবার ৩ ম্যাচ বল করে সাকিব পেয়েছেন এক উইকেট।

সবমিলিয়ে পিএসএলে ১৭ ম্যাচে সাকিবের উইকেট সংখ্যা ৯টি, যেখানে সাত ম্যাচে ১৩ উইকেট নিয়ে শেষ করলেন রিশাদ হোসেন। টাইগার লেগস্পিনারের বোলিং গড়ও ছিল আশাজাগানিয়া। পিএসএলে অন্তত ১০ উইকেট শিকার করেছেন এমন বোলারদের মধ্যে রিশাদের বোলিং গড় (১৭.২৩) পঞ্চম সর্বনিম্ন। এ তালিকায় সবার ওপরে আছেন (১৬.৪২) শাহিন আফ্রিদি।

কেন ক্ষমা চাইলেন রিশাদ হোসেন?

উইকেট শিকারে ১১ বল হাত ঘুরাতে হয়েছে ১৭ উইকেট নেওয়া ফাহিম আশরাফকে। যেখানে রিশাদের বোলিং স্ট্রাইক রেট ছিল ১১.০৭। অর্থাৎ প্রতি উইকেট শিকারে ১১ বলের বেশি হাত ঘুরাতে হয়েছে রিশাদকে। যা পুরো পিএসএলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অর্জন।

এদিকে বাংলাদেশিদের মধ্যে বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে অভিষেকের বছরে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়া বোলার সাকিব আল হাসান। ওরচেস্টারশায়ারের হয়ে ২০১১ সালের ভাইটালিটি ব্লাস্টে ১৯ উইকেট নিয়েছিলেন একসময়ের এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। ২০১৬ সালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে আইপিএলে অভিষেক মৌসুমে মোস্তাফিজ নিয়েছিলেন ১৭ উইকেট।

রিশাদের দলে পুরস্কার বিতরণে পক্ষপাতের অভিযোগ!

পিএসএলে দুর্দান্ত অভিষেকের বছরে রিশাদ তুলেছেন ১৩ উইকেট। যা টাইগার ক্রিকেটারদের মধ্যে বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের অভিষেকে তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের ঘটনা। যদি বাকিদের তুলনায় রিশাদের ম্যাচ সংখ্যা খুব কম। পিএসএলে এবার মাত্র সাত ম্যাচ খেলেছিলেন টাইগার লেগ স্পিনার।

এমআই