
কাউন্সিলর না হয়েও যেভাবে বিসিবির সভাপতি হতে পারেন আমিনুল
খেলা ডেস্ক
২৯ মে ২০২৫, ১৯:০৯
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি পরিবর্তনের গুঞ্জন চলছে। ফারুক আহমেদের পরিবর্তে সম্ভাব্য সভাপতি হতে পারেন বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান আমিনুল ইসলাম বুলবুল। কিন্তু বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, বিসিবি সভাপতি হতে প্রথমে পরিচালক হতে হয়। পরিচালক হতে হলে কাউন্সিলরশিপ প্রয়োজন হয়।
দেশের বাইরে থাকা আমিনুল ইসলাম বিসিবির কাউন্সিলরের তালিকায় নেই। তাতে গঠনতান্ত্রিকভাবেই বুলবুলের বিসিবিতে আসা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। তবে জটিলতা কাটিয়েও বিসিবির সভাপতি হতে পারবেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তাতে বিসিবির গঠনতন্ত্র মেনেই এ কাজ করা হবে।
বিসিবির গঠনতন্ত্রের ১২.৭ অনুচ্ছেদে রয়েছে, ‘কোনো কাউন্সিলর পদত্যাগ, স্থায়ীভাবে প্রবাসী, দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত, সংস্থার ক্ষেত্রে বদলি বা অবসর হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, ক্লাব বা সমিতি কাউন্সিলর পরিবর্তন আবেদন জানাইতে পারে যাহা পরিচালা পরিষদে অনুমোদিত হইবে।’ এই অনুচ্ছেদের মাধ্যমে বিসিবিতে কাউন্সিলরশিপ রদবদলের সুযোগ রয়েছে।
বিসিবির বিদ্যমান কোনো কাউন্সিলর পদত্যাগ করলে সেখানে ঐ সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান নতুন কারো নাম বিসিবিতে পাঠাতে পারে, সেটা পরিচালনা পর্ষদে গৃহীত হলে তিনি কাউন্সিলর হিসেবে যোগ্য হবেন।
২০২১ সালের নির্বাচনে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের দুই মনোনীত পরিচালক ছিলেন জালাল ইউনুস ও আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি। জালাল ইউনুস স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলেও ববি করেননি। এনএসসি ববিকে পরিচালক থেকে সরিয়ে দেন। শূন্য দুই পরিচালক পদে ফাহিম ও ফারুককে পরিচালক মনোনীত করে এনএসসি।
ফারুক আহমেদ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক হিসেবে আগে থেকেই কাউন্সিলর ছিলেন। ফলে তার আর নতুন কাউন্সিলরশিপ লাগেনি। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) তাকে সরাসরি পরিচালক মনোনীত করেছে। বুলবুলের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য।
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক হিসেবে তার কাউন্সিলরশিপের প্রয়োজন হবে না। পাশাপাশি এনএসসি ফারুক আহমেদকে সরিয়ে বুলবুলকে সরাসরি পরিচালক মনোনীত করতে পারবে। আমিনুল পরিচালক হলে বাকি বোর্ড ডিরেক্টরসদের ভোটের ভিত্তিতে তিনি সভাপতি পদে অধিষ্ঠ হতে পারবেন।
এমআই