
‘টেস্ট ক্রিকেট খেলে সংসার চালানো সম্ভব নয়’
খেলা ডেস্ক
০৮ জুন ২০২৫, ১২:৫৩
দীর্ঘ সংস্করণের টেস্ট ফরম্যাটকে ক্রিকেটের সৌন্দর্য বলা হয়। বিশ্বের সব কিংবদন্তি ক্রিকেটার টেস্টের প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন। এমনকি সাদা পোশাকে বেশি ম্যাচ খেলতে ক্যারিয়ারে মাত্র একটি টে-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিলেন ক্রিকেটের বরপুত্র শচীন টেন্ডুলকার।
টেস্ট ক্রিকেটের সৌন্দর্য সবচেয়ে বেশি টের পাওয়া যায় ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ায়। অ্যাশেজে লাখো লাখো মানুষ টেস্ট ম্যাচ দেখতে অগ্রিম টিকিট কাটে। অস্ট্রেলিয়াতেও দেখা যায় একই চিত্র। টেস্ট ক্রিকেট দেখতে দর্শকদের কাড়াকাড়ি লাগে। তবে টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি অনীহা ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটারদের।
ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলতে তারা টেস্ট ক্রিকেট, এমনকি জাতীয় দলে খেলাই বন্ধ করে দেন। সাদা পোশাকে খেলতে কেন এত অনীহা, তার কারণ ব্যাখ্যা দিয়েছেন ৩৭ বছর বয়সী ক্যারিবিয়ান তারকা আন্দ্রে রাসেল। তার মতে টেস্ট ক্রিকেট খেললে সংসার চালানোই মুশকিল হয়ে পড়ে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন তিনি। রাসেল বলেন, ‘আমি মনে করি আপনি যদি ভারত, অস্ট্রেলিয়া বা ইংল্যান্ডের মতো দেশ থেকে আসেন, যেখানে টেস্ট খেলোয়াড়দের যত্ন নেওয়া হয়, তাহলে সেটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাস্তবতা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।’
তিনি বলেন, ‘ভারতের খেলোয়াড়েরা টেস্ট ক্রিকেট খেলতে মোটা অঙ্কের কেন্দ্রীয় চুক্তি পায়, বড় মঞ্চে খেলার সুযোগ পায়। হ্যাঁ, তারাও খেলতে চায়।’
রাসেল নিজের দেশের বাস্তবতা তুলে ধরে বলেন, ‘আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলোয়াড়? আপনি হয়তো ৫০ বা ১০০টা টেস্ট খেলবেন, কিন্তু অবসরের পর দেখবেন, দেখানোর মতো বিশেষ কিছু নেই। অবশ্যই আপনি চাইবেন এমন একটা জীবন, যেখানে স্বাচ্ছন্দ্যে বাঁচা যায় এবং পরিবারকে ভালোভাবে দেখাশোনা করা যায়। এখানে টেস্ট ক্রিকেট খেললে সংসার চালানোই মুশকিল হয়ে যাবে।’
টেস্টে সুযোগ পেলেও বেশিদিন খেলতেন না বলে জানিয়েছেন রাসেল, ‘আমাকে কার্যত টেস্ট দল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। তারা আমাকে সাদা বলের খেলোয়াড় হিসেবেই দেখেছিল, ব্যস সেটাই ছিল বাস্তবতা। আমি টেস্ট ক্রিকেটে বিশ্বাস করি, কিন্তু দিনশেষে আমি একজন পেশাদার ক্রিকেটার। এটা আমার যাত্রার অংশ ছিল না।’
এমআই