
চার ইনিংসে ২৩ রান করা এনামুলের পক্ষে সাফাই নাজমুলের
খেলা ডেস্ক
২৮ জুন ২০২৫, ১৫:২০
সাদা পোশাকে এক যুগের ক্যারিয়ার, কিন্তু ম্যাচের সংখ্যা মাত্র ৮টি। এনামুল হক কেন টেস্ট ক্রিকেটে নিয়মিত হতে পারেননি, তার উদাহরণ তিনি নিজেই দেখালেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ৫৯ বল খেলে মাত্র ২৩ রান করেছেন এই ক্রিকেটার। তবুও এনামুলের পক্ষে সাফাই গাইলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
টেস্ট ক্রিকেটে লম্বা সময় ধরে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ধুঁকছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ওপেনিং জুটির অবস্থা সবচেয়ে করুণ। উদ্বোধনী জুটিতে লম্বা সময় মাহমুদুল হাসান জয় ও জাকির হাসানের ওপর বিনিয়োগ করে বলার মতো আউটপুট পায়নি বাংলাদেশ। ফলে গেল জিম্বাবুয়ে সিরিজে ওপেনিং জুটি পরিবর্তন আনেন ফিল সিমন্স।
জয়-জাকিরকে বসিয়ে টাইগারদের নতুন ওপেনিং জুটি সাদমান ইসলাম ও এনামুল হক বিজয়। চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সাদমান এবং তাঁর সেঞ্চুরিতে ৩২ ইনিংস ও ২৮ মাস পর উদ্বোধনী জুটিতে একশো পেরোনো জুটি পায় বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে ক্যারিয়ার সেরা ৩৯ রান করেন এনামুল হক।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কিছু রান পেলেও বেশ নড়বড়ে ছিলেন এনামুল। তবুও তাকে দলে নিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে স্কোয়াড ঘোষণা করে বাংলাদেশ। লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসে ০ ও ৪ রানে আউট হয়েছেন বিজয়। এরপর দ্বিতীয় টেস্টের দুই ইনিংসে ০ ও ১৯ রানে আউট হয়েছেন তিনি।
শ্রীলঙ্কা সিরিজে চার ইনিংস মিলিয়ে ২৩ রান করা এনামুলের আউট হওয়ার ধরণ ছিল বেশ দৃষ্টিকটু। ক্রিকেটের ব্যাকরণ মেনে খেলতে না পারা বিজয়কে কেন নেওয়া হয়েছিল, ম্যাচ শেষে তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
তিনি বলেন, ‘৯ হাজার (৯০৬৬) প্রথম শ্রেণির রান—২৪টা সেঞ্চুরি, ৪৯টা পঞ্চাশ। এ রকম অভিজ্ঞ খেলোয়াড়কে আমরা কেন দলে নেব না? ওই চিন্তা করেই নেওয়া হয়েছিল। আমাদের ওপেনাররা ভোগান্তির মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল শেষ কয়েক বছর ধরে। (মাহমুদুল) জয়–জাকির কিছু কিছু ম্যাচ ভালো করেছে, তারপর দেখা গেছে ও রকম অবদান রাখতে পারেনি।’
টেস্টে এনামুল কখনোই ভালো করতে পারেননি। ২০১৩ সালে গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই এই সংস্করণে অভিষেক হয় তাঁর। সব মিলিয়ে ৮ ম্যাচের ১৫ ইনিংসে এখন পর্যন্ত ১৬২ রান করেছেন নাজমুল। তবে পরিসংখ্যান ছাড়াও এনামুলকে দলে নেওয়ার পেছনে কাজ করেছে আরও একটি কারণ।
নাজমুল বলেছেন, ‘আমরা এ রকম একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় খুঁজছিলাম, যার অনেক রান আছে। যে কি না অভিজ্ঞ একটু এই সংস্করণে। এই চিন্তা করেই দলে তাঁকে নেওয়া হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনক, (রান) করতে পারে নাই। সুযোগ ছিল। কিন্তু হ্যাঁ, সে দিতে পারে নাই দলের জন্য এটা অবশ্যই হতাশাজনক।’
বিজয়ের ওপর আরও আস্থা রাখার গল্প শুনিয়ে শান্ত বলেন, ‘আমি এখনো বিশ্বাস করি, তাঁর যদি সামনে সুযোগ আসে, অবশ্যই সে ভালো কিছু করবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, শুধু তাঁর ওপর দোষ দেওয়াটা বোকামি হবে, দল হিসেবে আমরা এ ম্যাচটা ভালো খেলি নাই।’
এমআই