
সাকিবকে ছাড়িয়ে ইমরান-কপিলের পরেই মিরাজ
খেলা ডেস্ক
৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৫:৩০
মাইলফলকের অঙ্ক নিয়ে হয়তো খুব একটা মাথা ঘামান না মেহেদি হাসান মিরাজ। গ্যালারির সাইট স্ক্রিনে নিজের ২০০০ রান ২০০ উইকেটের মাইলফলক দেখে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলেন তিনি। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এই অর্জনে নাম লেখালেন মিরাজ। প্রথমজনের নাম হয়তো সবারই জানা, সাকিব আল হাসান।
অলরাউন্ডার র্যাংকিংয়ে দীর্ঘ সময় রাজত্ব করা সাকিব এই কীর্তি গড়তে খেলেছেন ৫৪ ম্যাচ। তবে এক ম্যাচ কম খেলেই সাকিবকে ছাড়িয়ে অন্যন্য রেকর্ডে নাম লেখালেন মিরাজ। শুধু সাকিব নয়, বিশ্বের দ্রুততম ৬ষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে ২০০০ রান ২০০ উইকেট নাম লেখালেন তিনি।
মিরাজের সমান ৫৩ টেস্ট ম্যাচ খেলে এ তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা। এছাড়া ৫১ ম্যাচ খেলা রবিচন্দ্রন অশ্বিন রয়েছেন তৃতীয় স্থানে। তালিকার সেরা তিনে রয়েছেন তিন কিংবদন্তি ক্রিকেটার ইয়ান বোথাম, ইমরান খান এবং কপিল দেব। এ তিন ক্রিকেটার যথাক্রমে ৪২, ৪৫ ও ৫০ টেস্ট খেলে দুই হাজার রান ও ২০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন।
টেস্টে দ্রুততম ২ হাজার রান ও ২০০ উইকেট
৪২ টেস্ট - ইয়ান বোথাম (ইংল্যান্ড)
৫০ টেস্ট - ইমরান খান (পাকিস্তান)
৫০ টেস্ট - কপিল দেব (ভারত)
৫১ টেস্ট - রবিচন্দ্রন অশ্বিন (ভারত)
৫৩ টেস্ট - রবীন্দ্র জাদেজা (ভারত)
৫৩ টেস্ট - মেহেদি হাসান মিরাজ (বাংলাদেশ)
সাদা পোশাকে সিলেট টেস্টেই দুই ফাইফারে ২০০ উইকেটের মালিক হয়েছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। চট্টগ্রাম টেস্টে ব্যাট হাতে ২০০০ রান করতে তার প্রয়োজন ছিল মাত্র ৩৬ রান। কিন্তু জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩৬ রান লক্ষ্য টপকিয়ে সেঞ্চুরি করে বসেন মেহেদি মিরাজ। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পাওয়ার দিনে অন্যন্য মাইলফলক স্পর্শ করলেন তিনি।
বাংলাদেশের হয়ে ১৬ রানে তৃতীয় দিন শুরু করেন মিরাজ। দলের লিড ছিল ৬৪ রান। সেখান থেকে শুরুতে তাইজুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে সকালে যোগ করেন ৫১ রান। তাইজুল ২০ রানে ফিরে গেলেও তানজিমের সঙ্গে গড়েছেন ৯৬ রানের জুটি। তাতে ঘরের মাঠে প্রায় দুই বছর ও ১৫ ইনিংস পর ৪০০ করতে পারল বাংলাদেশ।
অভিষিক্ত লেগ স্পিনার মাসেকাসার ফাইফারে বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত ৪৪৪ রানে অলআউট হয়েছে। তাতে বাংলাদেশের লিড দাঁড়িয়েছে ২১৭ রান। তবে বাংলাদেশের বাড়তি রানের সংখ্যা তাড়া করতে গিয়ে ১৭ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চা বিরতিতে গিয়েছে জিম্বাবুয়ে দল। রোডেশিয়ানদের উভয় উইকেট শিকার করেছেন তাইজুল ইসলাম।
এমআই