
আইসিসি থেকে যত টাকা পায় ভারতের ক্রিকেট বোর্ড
খেলা ডেস্ক
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:৫৯
বিশ্ব ক্রিকেটে সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশের নাম ভারত। ক্রীড়া জগতের এ বিভাগে ভারত এতটাই প্রভাব খাটায় যে, স্বয়ং আইসিসি তাদের সমীহ করে চলে। আইসিসি হলো- ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার নামের সংক্ষিপ্ত রূপ। পূর্ণ রূপ ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল। তবে সমালোচকরা আইসিসিকে ‘ইন্ডিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল’ বলে ট্রল করে থাকেন।
আইসিসিতে ভারতে প্রভাব-প্রতাপের কথা স্বীকার করেছেন সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলে। এমনকি নীতি-নির্ধারণে ভারতের দাপট খাটানোকে বৈশ্বিক ক্রিকেটের জন্য ক্ষতিকর বলে অভিহিত করেছেন সাবেক আইসিসি প্রধান। গ্রেগ বার্কলের মেয়াদ শেষে সম্প্রতি আইসিসির চেয়ারে বসেছেন জয় শাহ। তিনিও ভারতের নাগরিক এবং বিসিসিআইয়ের সাবেক সচিব।
জয় শাহের উপস্থিতি ভারতের জন্য আরও কতটা সুবিধা বয়ে আনবে, সেটা সময়ের অপেক্ষা। তবে ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থার শীর্ষ পর্যায়ে বসার আগে ভারতের জন্য আইসিসির লভ্যাংশের বড় অঙ্ক বরাদ্দ করে গেছেন বিসিসিআইয়ের এ সাবেক সচিব। আইসিসির পরিচালনা পর্ষদের ফিন্যান্স অ্যান্ড কমার্শিয়াল অ্যাফেয়ার্স কমিটি সব দেশের জন্য এ আর্থিক বরাদ্দ তৈরি করেছিল।
নির্দিষ্ট মানদণ্ডের ভিত্তিতে এসব আর্থিক বরাদ্দ নির্ধারণ করে আইসিসি। এসবের মধ্যে দেশের ক্রিকেট ইতিহাস, আইসিসি টুর্নামেন্টগুলোতে ছেলে ও মেয়েদের আসরে গত ১৬ বছরের পারফরম্যান্স, আইসিসির বাণিজ্যিক আয়ে অবদান এবং আইসিসির পূর্ণ সদস্য হিসেবে নির্ধারিত অর্থ বিবেচনায় এই প্রাক্কলন নির্ধারণ করে ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
এদিকে আইসিসি দেশগুলোর জন্য বরাদ্দের বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক তথ্য প্রকাশ না করলেও সংশ্লিষ্ট নথির বরাতে আর্থিক কাঠামোর তথ্য জানিয়েছিল ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো। পাশাপাশি বিসিসিআই থেকে রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাগুলোকে পাঠানো মেইলের সূত্র ধরে ক্রিকবাজও একই বিষয় নিশ্চিত করেছে।
বিসিসিআইয়ের করা মেইল অনুযায়ী, আইসিসি থেকে ৩৮.৫ শতাংশ রাজস্ব বরাদ্দ পেয়েছে ভারত। অর্থাৎ, আইসিসি তার সদস্যদেশগুলোর মধ্যে ১০০ টাকা লভ্যাংশ বণ্টন করলে তার সাড়ে ৩৮ টাকা পাবে বিসিসিআই। ভারত বাদে আর কোনো দেশই দুই অঙ্কের টাকা পাবে না। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬.৮৯ টাকা পাবে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি), তৃতীয় সর্বোচ্চ ৬.২৫ টাকা পাবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)।
২০২৩ সালে পরবর্তী চার বছরের জন্য লভ্যাংশের আর্থিক কাঠামো নির্ধারণ করে আইসিসি। তাতে ২০২৪-২৭ সময়ের জন্য লভ্যাংশের মোট ৬০ কোটি মার্কিন ডলার প্রাক্কলন করা হয়। সেই অনুসারে, আগামী চার বছরে ভারত পাবে মোট ২৩ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার। যেখানে ইসিবির পাবে ৪ কোটি ১৩ লাখ, সিএ পাবে ৩ কোটি ৭৫ লাখ ডলার।
আইসিসির তালিকাভুক্ত সদস্য হওয়ায় বাংলাদেশও এ বরাদ্দের অংশীদার। প্রাক্কলন অনুযায়ী, পরবর্তী চার বছরে বিসিবির জন্য ৪.৪৬ শতাংশ বা ২ কোটি ৪৭ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার এবং পাকিস্তানের পিসিবির জন্য ৫.৭৫ শতাংশ বা ৩ কোটি ৪৫ লাখ মার্কিন ডলার প্রস্তাবের খবর পাওয়া গিয়েছিল। যদিও আইসিসির আনুষ্ঠানিক বিবৃতি না আসায় এর চূড়ান্ত অনুমোদনের বিষয়টি জানা যায়নি।
এমআই