
দুই ম্যাচে ৭ উইকেট, কতটা কঠিন ছিল মুশফিকের প্রত্যাবর্তন?
খেলা ডেস্ক
০৫ আগস্ট ২০২৫, ১৭:০৭
বাংলাদেশ ক্রিকেটে বড় নাম মুশফিকুর রহিম। জাতীয় দলে লম্বা সময় পার করা এই ক্রিকেটার এবার ইতি টানার অপেক্ষায়। মুশফিক নামেই আরেক ক্রিকেটার দুই বছর আগে জাতীয় দলের স্কোয়াডে ডাক পেয়েছিলেন। তার পুরো নাম মুশফিক হাসান। দুর্দান্ত লাইন, লেন্থ আর বাউন্সে ব্যাটারদের কাবু করতে পারেন তিনি।
২০২৩ সালের জুনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবার জাতীয় দলে (টেস্ট ফরম্যাটে) ডাক পান পেসার মুশফিক হাসান। সেবার অবশ্য লাল সবুজের জার্সিতে অভিষেক হয়নি তরুণ এই পেসারের। এরপরই চোটে পড়েন এই ক্রিকেটার। ইনজুরির সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে নিজেকেই হারিয়ে খুঁজছিলেন মুশফিক।
গেল বছরের মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজেও দলে ছিলেন মুশফিক। তবে ভাগ্য ভালো না থাকায় সিরিজ শুরুর আগেই ইনজুরির কবলে পড়ে দল থেকে ছিটকে যান। পরবর্তীতে জাতীয় দলের স্কোয়াডে আর দেখা যায়নি তাকে। ফলে এখনও জাতীয় দলের জার্সিতে অভিষেক হয়নি তার।
জাতীয় দলে জায়গা না মিললেও ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত মুখ মুশফিক। তবে এখানেও চোটের করাল গ্রাস থেকে খুব একটা মুক্তি পাননি। চোটের কারণে সবশেষ বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফটেও ছিলেন না এই ডানহাতি পেসার। যদিও শেষদিকে যোগ দেন খুলনা টাইগার্সের স্কোয়াডে। সামর্থ্য অনুযায়ী জানান দেন নিজের প্রতিভার।
সদ্য সমাপ্ত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও (ডিপিএলে) কয়েকটি ম্যাচ খেলার পর ঊরুর ইনজুরিতে পড়েন মুশফিক। এরপরে মোহামেডানের জার্সিতে আর মাঠে ফেরা হয়নি তার। চোটের বিড়ম্বনা পার করে আবার অনুশীলনে ফিরেছেন তিনি। চট্টগ্রামে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের অনুশীলনে দুই ম্যাচে ৭ উইকেট শিকার করেন এই পেসার।
চোটে আক্রান্তের কথা জানিয়ে মুশফিক বলেন, ‘সব মিলিয়ে ১০ মাস ইনজুরিতে ছিলাম। গেল বছর মাঝামাঝি সময়ের পর, এরপর বিপিএলের আগে। পরে চারটা ম্যাচ খেললাম বিপিএলে। এরপরে আবার ইনজুরিতে পড়লাম, আবার চার মাস লেগে গেল। তার মধ্যে দুই মাস রিহ্যাব করলাম ভাল মতো। চিকিৎসকরা পরে এই ক্যাম্পে যোগ দিলাম।’
ইনজুরির কঠিন সময় নিয়ে মুশফিক বলেন, ‘এদিক থেকে সবাই অনেক সাপোর্ট করতো, বিশেষ করে পরিবার। এছাড়া কয়েকজন শুভাকাঙ্ক্ষী, তারা অনেক সাপোর্ট করতো। মাঠের বাইরে যখন থাকতাম তখন ভাবতাম যে সবাই খেলতে পারছে, আমি খেলতে পারছি না। অবশ্যই অনেক খারাপ লাগতো।’
তিনি বলেন, ‘আমি রিহ্যাবটা ঠিকমতো করছি, এই জিনিসগুলো যদি ঠিকমতো না করতাম তাহলে আরও দেরি হতো। আর পেসারদের একটু বেশি ইনজুরি হয়, এখান থেকে কিভাবে বের হয়ে আসতে পারি এটা শিখেছি। ভবিষ্যতে হয়তো আবার ইনজুরিতে পড়তে পারি, সেখান থেকে রিকভার কিভাবে করব এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’
এমআই