
ফিটনেস টেস্টে বিসিবির নতুন নিয়ম, পাস না করলেই বাদ!
খেলা ডেস্ক
০৫ আগস্ট ২০২৫, ২০:১৮
ক্রিকেটারদের ফিটনেস নিয়ে দেশের ঘরোয়া টুর্নামেন্টে ছাড় দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। প্রতিবছরই সিনিয়র ক্রিকেটাররা নির্ধারিত মানদণ্ড না ছুঁয়েই খেলতে নামেন। যার প্রভাব পড়ে পুরো টুর্নামেন্টে। এবার ফিটনেস নিয়ে কড়া মানদণ্ড নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
জাতীয় দলের মতো এবার ঘরোয়া ক্রিকেটেও ১৬০০ মিটার দৌড়ের মাধ্যমে ফিটনেস পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে ৪০০ মিটার করে চার চক্কর দিতে হবে ক্রিকেটারদের। এ ক্ষেত্রে মানদণ্ড নির্ধারণ করা হয়েছে চার ভাগে। প্রথম ভাগে ৬ মিনিটের মধ্যে যাঁরা দৌড় শেষ করতে পারবেন, তাঁরা এলিট শ্রেণিতে থাকবেন।
৬ মিনিট থেকে পরবর্তী ২০ সেকেন্ডের মধ্যে শেষ করতে পারলে সেটি পাবে ভালোর মর্যাদা। ৬ মিনিটের পরের ৪০ সেকেন্ডের মধ্যে শেষ করলে নিম্ন শ্রেণিতে পড়বেন সেই ক্রিকেটাররা। এর বেশি যাঁদের সময় লাগবে, তাঁরা এনসিএল ও লম্বা দৈর্ঘ্যের ক্রিকেট খেলার উপযোগী বলে বিবেচিত হবেন না।
জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা জাতীয় স্টেডিয়ামের অ্যাথলেটিকস ট্র্যাকে দৌড়ালেও এবার পরীক্ষাটি হবে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে। আগের মতো মানদণ্ডে পিছিয়ে থাকা কেউ কেউ খেলার ছাড়পত্র পাবেন কি না—এমন জিজ্ঞাসার জবাবে কঠিন জবাব দিয়েছেন বিসিবির ট্রেনার তুষার কান্তি হাওলাদার।
তিনি বলেছেন, ‘এমন হলে টেস্ট নেওয়ার দরকার কি? তবে দিনশেষে এটি নির্বাচকদের ব্যাপার। যেটি (মানদণ্ড) আছে, সেটি অবশ্যই কঠোরভাবে মেনে চলা উচিত।’ মানদণ্ডটি চার চক্করের। শেষ করার জন্য বরাদ্দ সময় ৬ মিনিট এবং পরের ৪০ সেকেন্ড।
বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, ফিটনেস টেস্টে ফেল করলে জাতীয় লিগ বা বিসিএলের মতো লম্বা ফরম্যাটে খেলার সুযোগ পাবেন না ক্রিকেটাররা। বাংলাদেশে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টও খুব একটা নেই। বিপিএলে বিদেশি ক্রিকেটারদের দেশি ক্রিকেটারদের সুযোগ পাওয়া কঠিন। ফলে এনসিএলে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে ফিটনেস টেস্টে সবাইকে পাস করতে হবে।
ফিটনেস টেস্টে বিসিবির সময়সীমা
৬ মিনিটের মধ্যে শেষ করলে– এলিট শ্রেণি
৬ মিনিট ২০ সেকেন্ডের মধ্যে– ভালো
৬ মিনিট ৪০ সেকেন্ড পর্যন্ত– ন্যূনতম পাস
এর বেশি সময়– অকৃতকার্য
এমআই