বিসিবি-ক্রিকেটারদের তিন ঘণ্টার বৈঠকে উঠে এলো যেসব প্রসঙ্গ
খেলা ডেস্ক
১৯ আগস্ট ২০২৫, ২০:৪৯
এশিয়া কাপের আগে মাঠের প্রস্তুতির পাশাপাশি এবার মাঠের বাইরেও ছিল গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে বিসিবির দীর্ঘ এক বৈঠকে উঠে এসেছে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স, ফিটনেস, সহায়তা কাঠামো এবং ক্রিকেটের স্বচ্ছতা সংরক্ষণসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা।
আজ (মঙ্গলবার) সকাল ১০টায় রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে বসে এই বৈঠক। তিন ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, বোর্ড পরিচালক, জাতীয় দলের ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফরা। আলোচনায় ছিল একাত্মতার বার্তা, স্বচ্ছতার গুরুত্ব এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার ছাপ।
বৈঠক শেষে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘জাতীয় দল, কোচিং স্টাফ এবং বোর্ড—তিনটি দলকে আমরা একটি বড় দল হিসেবে দেখি। তাদের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করতে আমরা আটটি প্রশ্ন দিয়েছিলাম, যার উত্তর বিশ্লেষণ করে আজ শেয়ার করেছি।’
এই উদ্যোগের নাম দেওয়া হয়েছে ‘শেয়ার অ্যান্ড কেয়ার’। এর মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে, মাঠের খেলোয়াড় থেকে শুরু করে বোর্ড কর্মকর্তারা—সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই গড়ে উঠছে দেশের ক্রিকেট। স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইনটিগ্রিটি ইউনিট নিয়ে বৈঠকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আজকের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সেশন ছিল ইনটিগ্রিটি নিয়ে। ডোপিং, এন্টি-করাপশন, সুরক্ষা—সব কিছুই এর আওতায়। আমাদের লক্ষ্য, ক্রিকেটের শুদ্ধতা বজায় রাখা।’ আলোচনায় ছিলেন আইসিসির গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করা অ্যালেক্স মার্শাল, যিনি ক্রিকেটকে দুর্নীতি ও ডোপিং থেকে রক্ষার দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
বৈঠকে ক্রিকেটারদের সরব অংশগ্রহণ ছিল অন্যতম ইতিবাচক দিক। অনেকেই সরাসরি উঠে এসে মাইক্রোফোন হাতে তুলে নিয়েছেন, প্রকাশ করেছেন নিজেদের অভিজ্ঞতা, সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা।
‘মজার ব্যাপার হলো, আলোচ্যসূচির বাইরে গিয়েও ক্রিকেটাররা নিজেদের কথা বলতে চেয়েছে। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। আমরা আজ বুঝতে পেরেছি, আমরা সবাই একটি দল,’ বলেন বিসিবি সভাপতি। আজকের বৈঠকের আলোকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, প্রতি তিন মাস অন্তর এ ধরনের সভা আয়োজন করবে বিসিবি।
লক্ষ্য, খেলোয়াড়দের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করা। ‘শুধু চিকিৎসা নয়, পিচ কন্ডিশন, অনুশীলন সুবিধা, লজিস্টিক সাপোর্ট—সব কিছু নিয়েই আলোচনা হয়েছে। ক্রিকেটাররা লিখিত ও মৌখিকভাবে তাদের মতামত দিয়েছে। কোথায় ঘাটতি আছে, কোথায় উন্নতির সুযোগ, আমরা সেটি জানার চেষ্টা করেছি,’ বলেন বুলবুল।
জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে আলোচনা হয়েছে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স নিয়েও। বিসিবি সভাপতির ভাষায়, ‘প্রত্যেক ক্রিকেটার একেকটি হিউজ পাওয়ার হাউজ। কিভাবে তারা বিশ্বমানের ক্রিকেটার হয়ে উঠতে পারে, সে বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
এমআই