
পাওয়ারফুল হয়েও কেন কেন সহজে ছক্কা হাঁকাতে পিছিয়ে লিটনরা?
খেলা ডেস্ক
২৩ আগস্ট ২০২৫, ১৬:২০
টি-টোয়েন্টিতে শতাধিক ম্যাচে খেলে দুই হাজারের বেশি রান করেছেন লিটন দাস। ১০৫ ইনিংসে ২২৯২ রান করতে ২২১টি চার আর ৭১টি ছক্কা মেরেছেন টাইগার অধিনায়ক। শতাধিক ম্যাচ খেলেও ম্যাচপ্রতি একটি ছক্কাও হাঁকাতে পারেননি লিটন। চিত্রটা কেবল টাইগার অধিনায়কের নয়, পুরো বাংলাদেশ ক্রিকেটেই ছক্কার সংখ্যাটা নেহায়েত কম।
শারিরীকভাবে বড়সড় না হওয়ায় ছক্কা হাঁকাতে পারেন না, টাইগারদের এমন মন্তব্য হারহামেশাই শোনা যায়। তবে লিটন-জাকেরদের পাওয়ারফুল বলেই সম্বোধন করেছেন বাংলাদেশের খণ্ডকালীন পাওয়ার হিটিং কোচ জুলিয়ান উড। তার মতে, বাংলাদেশিদের পাওয়ার নেই এটা মিথ্যা কথা। বরং আত্মবিশ্বাসের অভাবে লিটনরা ছক্কা মারতে পারেন না।
আজ শনিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এমন কথা বলেন উড। তিনি বলেন, ‘(বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের শক্তি নেই) এটি বড় একটি মিথ। আমি তিন সপ্তাহ ধরে এখানে আছি। আমি আগে থেকেই এই মিথ শুনতাম যে, বাংলাদেশিদের নাকি পাওয়ার নেই।
তিনি বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজে দেখুন, তারা বড় গড়নের, ভিন্ন ধরনের, শারীরিকভাবেও ভিন্ন। ইংল্যান্ড শক্তিশালী, অস্ট্রেলিয়াও শক্তিশালী। এরা (বাংলাদেশিরা) একটু ছোট গড়নের, তবে তাদের পাওয়ার আছে, বিশ্বাস করুন, যথেষ্ট পাওয়ার আছে। মূল বিষয় হলো কীভাবে সেই পাওয়ার ব্যবহার করতে হয়, কাজে লাগাতে হয়, সেটা জানতে হবে।’
জুলিয়ান বলেন, ‘এখন যেভাবে ছেলেরা পাওয়ার হিটিং করছে, এটা একটা প্রক্রিয়া। এক সপ্তাহে, দুই সপ্তাহে হবে না। অবশ্যই পার্থক্য আসবে। কিন্তু এটা একটা প্রক্রিয়া, সেটা বুঝতে হবে। প্রক্রিয়ার ওপর ভরসা করতে হবে।’
শারিরীকভাবে বড়সড় না হওয়ায় বাংলাদেশের বেশিরভাগ ক্রিকেটারই টাইমিং নির্ভর। এসব ক্রিকেটারদের নিয়েও কাজ করছেন উড, ‘ছোট গড়নের খেলোয়াড়দের টাইমিংয়ের ওপর অনেক বেশি নির্ভর করতে হয়। যদি তাদের রিদম আর টাইমিং ঠিক হয়, মুভমেন্ট সঠিক হয়, তাহলে শটের দূরত্ব বেড়ে যাবে।’
টাইগার কোচ জোর দিলেন ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাসের ওপরেও, ‘আত্মবিশ্বাস খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিছু বাংলাদেশি ক্রিকেটারের বড় সাফল্য অর্জনের মতো আত্মবিশ্বাস নেই। আবারও বলছি, এটা সম্পূর্ণ মানসিকতার ব্যাপার। যখন দলের বাইরে থেকে মানুষ বলে যে তারা এটা পারে না, ওটা পারে না- এটা সাহায্য করে না।’
‘বারবার কাউকে বললে যে সে কিছু করতে পারবে না, তাহলে সে বিশ্বাস করতে শুরু করে যে সত্যিই পারবে না। আমার কাজ হলো, তাদেরকে সঠিক সরঞ্জাম আর মানসিকতা দেওয়া যাতে তারা আত্মবিশ্বাস পায়’- যোগ করেন তিনি।
এমআই