
৩৫৩ দিয়ে শুরু, ১২৮ রানে শেষ!
খেলা ডেস্ক
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:১০
বিশ ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের একমাত্র অবলম্বন ছিল বিপিএল। দেশি ক্রিকেটারের পাশাপাশি বিপিএলে সর্বোচ্চ চার বিদেশি খেলে থাকেন। শিরোপা জেতার প্রতিযোগিতায় ঘরোয়া টুর্নামেন্টে নিয়মিত খেলা অধিকাংশ খেলোয়াড়রাই বিপিএলে খেলার সুযোগ পেতেন না। তাতে ঘরোয়া ক্রিকেটের উন্নতি আর টি-টোয়েন্টির প্রস্তুতির জন্য দেশিদের নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলাদা টুর্নামেন্টের দাবি জানিয়ে আসছিলেন বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা।
ঘরোয়া ক্রিকেট কাঠামোর উন্নতি আর ক্রিকেটারদের দাবির প্রেক্ষিতে চলতি বছরে প্রথমবারের মতো এনসিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজন করে বিসিবি। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম এবং আউটার স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের সব ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। তবে শুরুর দিকে ব্যাট হাতে ছড়ি ঘুরানো ব্যাটাররা পর্যায়ক্রমে নিমজ্জিত হয়ে আসতে শুরু করেন। তাতে শিরোপা নির্ধারণীর ম্যাচে রান সংকটে শেষ হয়েছে এনসিএল টি-টোয়েন্টির প্রথম আসর।
গত ১১ ডিসেম্বর ঢাকা মেট্রোকে দিয়েই শুরু হয় এনসিএলের প্রথম ম্যাচ। উদ্বোধনী ম্যাচে নাইম শেখদের প্রতিপক্ষ ছিল বরিশাল বিভাগ। টুর্নামেন্ট শুরুর ম্যাচে ব্যাটিং করতে নেমে সেবার ১৯২ রান তুলেছিল ঢাকা মেট্রো। জবাবে কম যায়নি বরিশাল বিভাগ। ফজলে মাহমুদের ৭৭ রানের ইনিংসে ১৬১ রানে তুলে বরিশাল বিভাগ। তাতে প্রথম ম্যাচেই ৩৫৩ রানের সম্মিলিত স্কোর দেখে টাইগার ভক্তরা।
এনসিএলের আকর্ষণ আরও জমিয়ে তুলে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ম্যাচ। সিলেট বিভাগের দেওয়া ২০৬ রানের লক্ষ্যে শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে জিতে যায় ঢাকা বিভাগ। তাতে এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে প্রথম দুই ম্যাচেই আসে ৭৬৫ রান। তবে ম্যাচ বাড়তেই যেন কমে আসে রানের ফোয়ারা। দ্বিতীয় ম্যাচের পর আর একবারও ২০০ রানের মুখ দেখেনি কোনো দল।
টুর্নামেন্টের শেষ ৪ ম্যাচে দেড়শো রান করতে পারেনি কোনো বিভাগ। উল্টো নক আউট পর্বে প্রথম ইনিংসে ১৫০ রানের কম করেও জিতেছে খুলনা, ঢাকা মেট্রো। এছাড়া প্রথম কোয়ালিফায়ারে ঢাকা মেট্রো করেছিল মাত্র ১০৭ রান। স্বল্প রানের পুঁজি নিয়েও দাপট দেখিয়েছিল ঢাকার বোলাররা। তবে লো স্কোরিং ম্যাচের সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতা হয়েছে ফাইনাল ম্যাচে।
শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে প্রখম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৬২ রানেই গুঁড়িয়ে গেছে ঢাকা মহানগর। রংপুরের দুই পেসার মুকিদুল ইসলাম ও আলাউদ্দিন বাবু মিলে ১৬ রানেই তুলে নিয়েছেন ঢাকার প্রথম ৫ উইকেট। যা এই টুর্নামেন্টে সর্বনিম্ন রানে ৫ উইকেট হারানোর রেকর্ড। মুগ্ধ-বাবুর বোলিং তাণ্ডবে মাত্র ৬২ রানে অলআউট হয়েছে ঢাকা মহানগর, এটিও টুর্নামেন্টের সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ।
বাংলাদেশে কোনো স্বীকৃতি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ফাইনালের এই প্রথম কোনো দল ১০০ রানের নিচে অলআউট হলো। ২০১৬ সালের বিপিএল ফাইনালে রাজশাহী কিংস ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে ১০৩ রানে অলআউট হয়েছিল। তাতে ফাইনাল ম্যাচে দলীয় সংগ্রহের তলানিতে জায়গা নিয়ে রানার্স আপ হয়েছে ঢাকা মহানগর।
টি-টোয়েন্টিতে আনন্দ জোগায় ব্যাটারদের রানের ফোয়ারা। তবে সিলেটের মাঠে টানা ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ায় পিচ যেন শেষবেলায় অনেকটা নিচু এবং মন্থর হয়ে পড়েছিল। তাতে এনসিএল টুর্নামেন্টের প্রথম দুই ম্যাচে রান বন্যা দেখার বিপরীতে শিরোপা নির্ধারণের ম্যাচে কপালে কিছুটা বিরক্তির ভাঁজ নিয়ে শেষ করতে হয়েছে ভক্তদের।
এমআই