Advertisement
Us Bangla Airlines
অবশেষে লিটন বুঝলেন, অধিনায়কের কেন পারফর্ম করা জরুরি

অবশেষে লিটন বুঝলেন, অধিনায়কের কেন পারফর্ম করা জরুরি

খেলা ডেস্ক

০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪:২২

জাতীয় দলে একাধিকবার খণ্ডকালীন অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পালন করেছিলেন লিটন দাস। গত বছরের ডিসেম্বরে সাবেক অধিনায়ক নাজমুল হোসেনের ইনজুরিতে ক্যারিবিয়ান সিরিজে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বাংলাদেশ হোয়াইটওয়াশ করলেও অধিনায়ক লিটনের পারফর্ম ব্যাট হাতে কিছুই করতে পারেননি।

সাদা বলে লিটনের ব্যর্থতা নিয়ে সতর্ক করেছিলেন নির্বাচকরা। ফলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল থেকে বাদ পড়েছিলেন এই ক্রিকেটার। শ্রীলঙ্কা সিরিজে ফের সাদা বলের ক্রিকেটে ডাকা হয় লিটনকে। এমনকি টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পান তিনি। তবে ওয়ানডেতে পুনরায় বাজে পারফর্ম করায় একাদশ থেকে জায়গা হারান তিনি।

শ্রীলঙ্কা সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও বাজে পারফর্ম করেছিলেন লিটন। ব্যাট হাতে অধিনায়কের ভরাডুবিতে ম্যাচ হেরেছিল বাংলাদেশ। তবে দলনেতার পারফর্ম করা কতটা জরুরি, পরের দুই ম্যাচে সেটাই মনে করিয়েছেন এই ব্যাটার। শ্রীলঙ্কায় টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেই দেশে ফিরেছিল বাংলাদেশ।

সম্প্রতি নেদারল্যান্ডস সিরিজেও হেসেছিল লিটনের ব্যাট। তিন ম্যাচের সিরিজে সর্বোচ্চ ১৪৫ রান করে সিরিজেসেরার পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। তৃতীয় ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়ায় বাংলাদেশ সিরিজ নিশ্চিত করেছে ২-০ ব্যবধানে। পরে সংবাদ সম্মেলনে লিটন অধিনায়কত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।

লিটন বলেন, ‘আমি (অধিনায়কত্ব) উপভোগ করি, উপভোগ করি বলেই এই দায়িত্ব নিয়েছি। অবশ্যই আমাদের টানা বেশ কয়েকটি সিরিজে ভালো ক্রিকেট হয়েছে। আমি নিজেও পারফর্ম করছি, যা দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। একজন নেতা যখন পারফর্ম করতে পারেন না, তখন দল মানসিকভাবে কিছুটা ভেঙে পড়ে।’

সর্বশেষ সিরিজে রান পাওয়ায় লিটন নিজেও সন্তুষ্ট, ‘আমাদের দলের সবাই ভালো পারফর্ম করছে, আর আমারও একটি চ্যালেঞ্জ ছিল– আমিও যেন সেই অবদান রাখতে পারি, যেন ভালো পারফর্ম করতে পারি। সেদিক থেকে আমি ভীষণ আনন্দিত যে আমি দলের একজন সদস্য হিসেবে ইতিবাচক প্রভাব রাখতে পারছি।’

অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর টানা তিন সিরিজে জয়ের স্বাদ পেয়েছেন লিটন। সিলেটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করে ভেন্যুটির প্রশংসা করেছেন তিনি, ‘আমরা জানি বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলোর মধ্যে সিলেট ও চট্টগ্রাম তুলনামূলকভাবে বেশ ব্যাটিংবান্ধব ভেন্যু। আউটফিল্ডও এখানে খুব ভালো।’

‘মিরপুরে সবাইকেই কিছুটা সংগ্রাম করতে হয়। স্থানীয়দের সঙ্গে বিদেশিরাও এখানে খেলতে এসে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়। তাই স্বাভাবিকভাবেই সব ব্যাটসম্যানের জন্য সিলেট একটি ভালো বিকল্প, দারুণ একটি মাঠ। এখানে খেলা সত্যিই উপভোগ্য’- যোগ করেন তিনি।

এমআই