Advertisement
Us Bangla Airlines
১৩৬ রান করতে না পারার অদ্ভুত যুক্তি দিলেন সিমন্স

১৩৬ রান করতে না পারার অদ্ভুত যুক্তি দিলেন সিমন্স

খেলা ডেস্ক

২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪:৫৬

১৩৬ রানের মতো সহজ লক্ষ্য তাড়ায় আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ব্যর্থতার রেকর্ড হাতে গোনা। সেই তালিকায় এবার নাম লেখাল বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে এশিয়া কাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ১৩৫ রানের লক্ষ্য ছুঁতে না পেরে ১১ রানে হেরেছে টাইগাররা। এমন হারের পর খোঁড়া যুক্তি দিয়ে দায় সারলেন প্রধান কোচ ফিল সিমন্স।

ম্যাচের পিচ ছিল কিছুটা স্লো ও টার্নিং, কিন্তু সেটি এমন কিছু ছিল না যেখানে ১৩৬ রানের লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব নয়। বিশেষ করে প্রথম ইনিংসে তাসকিন আহমেদ ও রিশাদ হোসেনের দারুণ বোলিংয়ে পাকিস্তানকে বেঁধে ফেলার পর ম্যাচ ছিল বাংলাদেশের হাতেই। তবে ছন্নছাড়া ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত ১২৪ রানেই গুটিয়ে গিয়ে হেরে বসে বাংলাদেশ।

ম্যাচ শেষে সিমন্স বলেন, ‘আসলে আমরা এখনও এমন দল হইনি, যেখানে অধিনায়ককে হারিয়ে সেই খালি জায়গা পূরণ করে ফেলব। আমরা সেখানে যেতে চেষ্টা করছি। লিটন যে ফর্মে ছিল, সেটা আমাদের জন্য খুবই জরুরি। অন্য দলের মতো আমাদের সেরকম গভীরতা নেই।’

তবে শুধু লিটনের অভাব দিয়ে পুরো ব্যাটিং ব্যর্থতা ঢেকে ফেলা কতটা যৌক্তিক, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। একাধিক ব্যাটার আউট হয়েছেন দায়িত্বজ্ঞানহীন শটে। এমনকি কম স্কোরিং ম্যাচেও দেখা গেছে অস্থিরতা। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এমন ম্যাচে এ ধরনের ব্যাটিং শুধুই ‘ভুল শট নির্বাচন’ নয়, মানসিক দৃঢ়তার অভাবেরই প্রতিচ্ছবি।

তবে হতাশার মধ্যেও কিছু ইতিবাচক দিক খুঁজে পেয়েছেন কোচ সিমন্স। প্রশংসা করেছেন তরুণ সাইফ হাসানের। বলেছেন, ‘সে এই টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বড় ইতিবাচক দিক ছিল আমাদের জন্য।’ সঙ্গে প্রশংসা করেছেন পুরো বোলিং ইউনিটের—‘টুর্নামেন্টজুড়ে বোলাররা দুর্দান্ত ছিল।’

ব্যাটসম্যানদের স্ট্রাইকরেট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সিমন্স বলেন, ‘আমরা যত বেশি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলব তত দ্রুত গ্যাপটা কমে আসবে। তখন ছেলেরা জানবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কীভাবে কী করতে হয়। মাঝেমধ্যে ছেলেদের স্ট্রাইকরেট দেখি ১২৬-১৩০, ঠিক আছে এটা আমি মানছি, তবে ছক্কা হাঁকানোতে আমরা আবার সবার শীর্ষে।’

‘এখানে আমাদের দ্রুত রান তোলার সামর্থ্য নিয়ে সমস্যা নেই, সমস্যা হচ্ছে লম্বা সময় ব্যাট করতে না পারা, ভালো জুটি গড়তে না পারা’- যোগ করেন তিনি।

কিন্তু প্রশ্ন একটাই—ছক্কা হাঁকানোই যদি একমাত্র মাপকাঠি হয়, তাহলে স্কোরবোর্ডে জয় আসে না কেন? ১৩৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে না পারার পরও যদি ‘অধিনায়কের অনুপস্থিতি’ দিয়ে ব্যর্থতার ব্যাখ্যা দিতে হয়, তাহলে তা শুধু হতাশাই নয়, ভবিষ্যতের জন্যও অশনিসংকেত।

এমআই