
‘চুক্তিভুক্ত ক্রিকেটারদের এমন আচরণ ঠিক নয়’
খেলা ডেস্ক
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১:৩৫
বিসিবি নির্বাচনকে ঘিরে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব হয়েছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। বর্তমান ও সাবেক বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার একযোগে পোস্ট দিয়েছেন, ‘বিসিবি নির্বাচন ঘিরে যা যা হচ্ছে, এসব কাম্য নয়। এটা বাংলাদেশের ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের ভবিষ্যতের ব্যাপার। আমরা চাই, বিসিবি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হোক।’
এমন পোস্টকে ঘিরে আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছেন ক্রিকেটাররাও। বিষয়টি নজরে এসেছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার। আজ রাজধানীর একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘খেলোয়াড়রা বা বোর্ড—সবারই পেশাদার হতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পৃথিবীর কোথাও রানিং ক্রিকেটার বোর্ডের নির্বাচন নিয়ে কথা বলে না। এটা তাঁদের কেন্দ্রীয় চুক্তির লঙ্ঘন। ক্রিকেটারদের দিয়ে দলাদলি করানো খুবই দুঃখজনক। যাঁরা করাচ্ছেন, তাঁদের লজ্জা পাওয়া উচিত।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবেই, প্রশ্নটা নিরপেক্ষতা ও অংশগ্রহণের। এখন পর্যন্ত আমি যা দেখছি, নির্বাচন ঠিকভাবেই চলছে। তালিকা প্রকাশের পর আপত্তির বিষয় মিটেছে। কাউন্সিলররা ভোট দেবেন, ভোটের মাধ্যমেই পরিচালক ও সভাপতি নির্বাচিত হবেন।’
একই সঙ্গে তিনি তুলে ধরেন অতীতের প্রেক্ষাপট। আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আগে নির্বাচন মানে ছিল প্রধানমন্ত্রী একজনকে সভাপতি ঠিক করে দিয়েছেন। এবার কিন্তু তা হয়নি। এবার সত্যিকারের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। দুই প্রার্থীর পাল্লা ভারী। যাঁরাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আসবেন, তাঁরাই নেতৃত্ব দেবেন।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘এবার কাউকে গোয়েন্দা সংস্থা থেকে ফোন দিয়ে বাধা দেওয়া হয়নি, কাউকে বলা হয়নি দাঁড়াতে না। এবার সেই সংস্কৃতি নেই।’
নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিয়ে আশাবাদী ক্রীড়া উপদেষ্টা জানিয়েছেন, ‘দুই–একটা সমস্যা তৈরি হয়েছিল, আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করে মিটিয়েছি। দখলবাজি এড়িয়ে চলেছি। এবারের প্রক্রিয়ায় যাঁদের আনা হয়েছে, তাঁরা ক্রীড়া–সংশ্লিষ্ট। রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠ কাউকে টানা হয়নি। বিএনপির লোকও আছেন। যদি নিয়ন্ত্রিত হতো, তাহলে তাঁরা থাকতে পারতেন না।’
সবশেষে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আজ চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের মধ্যেই আপত্তির সব সমাধান হয়ে গেছে। সামনে প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা আসবে। বড় কোনো সমস্যা হওয়ার সুযোগ নেই।’
এমআই