প্রথম ওয়ানডেতে ২০৭ রানের কম পুঁজি নিয়েও ৭৬ রানে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে জয় এলেও বিতর্ক থামেনি মিরপুরের উইকেট নিয়ে। কালো উইকেট, স্লো বাউন্স, বল ঘুরলেও থেমে যাওয়া গতি—সব মিলিয়ে আলোচনার কেন্দ্রে শেরেবাংলার পিচ। তবে বাংলাদেশ দলের স্পিন কোচ মুশতাক আহমেদ জানালেন ভিন্ন এক দৃষ্টিভঙ্গি। 

তুলনা টেনে বললেন, এমন উইকেটে আরও খারাপ অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। ১৯৯৯ সালে দিল্লিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্টে ইনিংসে ১০ উইকেট নিয়েছিলেন অনিল কুম্বলে। সেই ম্যাচের পিচ ছিল মুশতাকের চোখে মিরপুরের তুলনায়ও খারাপ। 

রোববার সংবাদ সম্মেলনে মুশতাক বলেন, ‘অনেকবার, আমার ক্যারিয়ারে অনেকবার খেলেছি এমন উইকেটে। অনিল কুম্বলে যে ম্যাচে ইনিংসে ১০ উইকেট পেলেন, দিল্লিতে, সেই উইকেট এর চেয়েও খারাপ ছিল।’ এমন উইকেটে মুশতাক নিজে কি ৭-৮ উইকেট পেতে পারতেন কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘না, কাজটা সোজা না। সত্যি বলছি এত সহজ না।’

এরপর নিজের কোচিং দর্শনের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার কোচিং পয়েন্ট অব ভিউ হলো—বিশ্বাস রেখে তোমার প্রক্রিয়া অনুসরণ করে যাও। এমন পিচে কখনও তোমাকে কমফোর্ট জোন থেকে বের হতে হবে।’

মুশতাক প্রশংসা করেছেন তরুণ লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনেরও। বলেছেন, ধারাবাহিক লাইন ও লেন্থ বজায় রেখেই দুর্দান্ত বল করেছেন রিশাদ। ‘এখন সে লম্বা সময় ধরে ভালো বল করতে পারে। এটা অত্যন্ত আনন্দের।’

উইকেট স্পিনবান্ধব হলেও সঠিক প্রক্রিয়া মেনে খেলার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন টাইগারদের এই স্পিন গুরু। তাঁর কথায়, ‘এমন উইকেট পেলে স্পিনাররা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। তখন প্রক্রিয়ার কথা মাথা থেকে বেরিয়ে যায়। প্রসেস ইজ এভরিথিং।’

মুশতাক আরও বলেন, ‘দআপনাকে উইকেট পেতে ভালো ওভার করতে হবে, শুধু ভালো ডেলিভারি নয়। টার্নিং পিচে আপনাকে মেইডেন ওভার করতে হবে, ধারাবাহিকভাবে চাপ তৈরি করতে হবে—তবেই উইকেট আসবে।’

এমআই