Advertisement
Us Bangla Airlines
৫৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে আয়ারল্যান্ড

৫৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে আয়ারল্যান্ড

খেলা ডেস্ক

২০ নভেম্বর ২০২৫, ১৬:৫৮

চিত্রটা প্রথম টেস্টের মতোই হয়ে গেল। বাংলাদেশের পাহাড়সম রান টপকাতে গিয়ে ভালো শুরু পেয়েছে আয়ারল্যান্ড। এরপর আচমকা ব্যাটিং ধসে ৫৩ রানের ব্যবধানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসেছে সফরকারীরা। তাতে আরেকটি জয়ের সুবাস তো বটেই, এমনকি আয়ারল্যান্ডকে ফের ইনিংস ব্যবধানে হারানোর প্রতীক্ষায় বাংলাদেশ।

মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনে আজ (বৃহস্পতিবার) ৪৭৬ রানে থামে বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৯৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করে সফরকারীরা। ফলো অন এড়াতে নিজেদের প্রথম ইনিংসে আরও ১৭৮ রান করতে হবে বার্লবিনির দলকে।

এর আগে গতকাল দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে নাজমুল হোসেন শান্তর দল ৪ উইকেটে ২৯২ রান করেছিল। আজ (বৃহস্পতিবার) দ্বিতীয় দিনের শুরুতে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন আগেরদিন ৯৯ রানে অপরাজিত থাকা মুশফিক। বিশ্বের মাত্র ১১তম ব্যাটার হিসেবে তিনি শততম ম্যাচ সেঞ্চুরিতে রাঙিয়েছেন।

বাংলাদেশকে ভুগিয়ে পরাজয় হজম করল আয়ারল্যান্ড

১০৬ রান করে মুশফিক ফেরার পর সেঞ্চুরি করেন লিটন দাসও। তার পঞ্চম টেস্ট সেঞ্চুরি থামে ১২৮ রানে। এ ছাড়া মুমিনুল হক ৬৩ এবং মেহেদী হাসান মিরাজ করেন ৪৭ রান। বাংলাদেশ ইতিহাসে নাম লিখিয়েছে মাত্র তৃতীয় দেশ হিসেবে টেস্টের একই ইনিংসে ৪র্থ, ৫ম ও ৬ষ্ঠ উইকেটে ১০০ রানের জুটি গড়ে।

আইরিশদের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে মুশফিক-মুমিনুলের চতুর্থ উইকেট জুটিতে ১০৭, মুশফিক-লিটনের পঞ্চম উইকেটে ১০৮ এবং লিটন-মিরাজের ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ১২৩ রান পায় বাংলাদেশ।  মুশফিক-লিটন বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ সপ্তমবার একশ’র বেশি রানের জুটি গড়লেন। যার ভিতটা তারা গড়েন গতকাল প্রথম দিনে। 

আজ দলীয় রানের খাতায় নতুন করে ১৮ রান যোগ করতেই মুশফিককে স্লিপে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান ম্যাথু হামপ্রিস। ২১৪ বলে ১০৬ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন তিনি ৫টি চারের সাহায্যে। মুশফিক বাংলাদেশের হয়ে (মুমিনুলের সঙ্গে) যৌথভাবে সর্বোচ্চ ১৩টি সেঞ্চুরি করেছেন। এরপর জুটি গড়েন লিটন-মিরাজ। 

টেস্টে এমন রেকর্ড কখনোই করতে পারেনি বাংলাদেশ

গত বছরের আগস্টের পর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন লিটন। গ্যাভিন হোয়ের বলে ক্যাচ তুলে মিরাজের (৪৭) বিদায়ে ভাঙে সেই জুটি। এরপর লিটনও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় ছিলেন তিনি, হাম্প্রিসের বলে সুইপ খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন স্লিপে। ১৯২ বলে ৮ চার ও ৪ ছক্কায় থামলেন ১২৮ রানে।

শেষ দিকে ক্যামিও খেলেছেন এবাদত। ৩ চার ও ১ ছক্কায় ১৮ রান করে তিনি অপরাজিত ছিলেন। বাংলাদেশ অলআউট হয় ৪৭৬ রানে। আইরিশদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬ উইকেট শিকার করেছেন অভিজ্ঞ স্পিনার ম্যাকব্রাইন। এ ছাড়া ম্যাথু হাম্প্রিস ও গ্যাভিন হোয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।

পরে ব্যাট করতে নেমে ৪১ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। অভিজ্ঞ ক্রিকেটার পল র্স্টালিংকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে উইকেট আদায় করেন পেসার খালেদ আহমেদ। বাকিটা ছিল স্পিনারদের রাজত্ব। মুরাদ ২ ও তাইজুল-মিরাজ একটি করে উইকেট নিয়ে আইরিশদের বড় বিপদ ডেকে আনেন।

এমআই