১২৭৬ দিন পর পাঁচ দিনের টেস্ট দেখবে মিরপুর
খেলা ডেস্ক
২২ নভেম্বর ২০২৫, ১৬:৫৬
স্পিনের স্বর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশের লর্ডস খ্যাত মিরপুর স্টেডিয়ামে। রাজধানীর এই ভেন্যুতে প্রতিপক্ষকে স্পিন বিষেই ঘায়েল করে টাইগার বোলাররা। তবে অপেক্ষাকৃত কম শক্তির দল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথাগত স্পিন পিচে খেলছে না বাংলাদেশ। কালো পিচের পরিবর্তে সবুজ পিচে খেলা এই ম্যাচ গড়িয়েছে ৫ম দিনে।
মিরপুর শেরে-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সবশেষ কবে ৫ দিনের টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ, তা খুঁজতে একটু পরিসংখ্যানই ঘাঁটতে হবে। এই ভেন্যুতে আয়োজিত সবশেষ ৫ টেস্টই তিন বা চারদিনের মাথায় শেষ হয়েছে। তবে ২০২২ সালের মে মাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মিরপুরে ৫ দিনের টেস্ট ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ।

সময়ের হিসাবে, ১২৭৬ দিন পর আবার মিরপুরে ৫ দিনের টেস্ট খেলতে নামবে টাইগাররা। আইরিশদের বিপক্ষে পঞ্চম দিনে ম্যাচ গড়ালেও জয়ের সুবাস পাচ্ছে নাজমুল শান্তর দল। সফরকারীদের হোয়াইটওয়াশ করতে বাংলাদেশের দরকার মাত্র ৪ উইকেট। আগামীকাল ৪ উইকেট শিকার করতে পারলেই জয়ের সাক্ষী হবে মুশফিকের শততম টেস্ট।
এর আগে ১ উইকেটে ১৫৬ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছিল বাংলাদেশ। তাতেই ৩৬৭ রানের লিড নিয়ে বসে টাইগাররা। সাদমান ইসলাম ৬৯ এবং মুমিনুল ১৯ রানে অপরাজিত থেকে আজ চতুর্থ দিনে ব্যাটিংয়ে নামেন। দিনের চতুর্থ ওভারেই অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরলেন সাদমান।

সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে তিনি ১১৯ বলে ৭ চারের সাহায্যে ৭৮ রানে থামলেন। সিলেট টেস্টেও একইভাবে আশা জাগিয়ে আউট হয়েছিলেন ৮২ রানে। প্রথম ইনিংসের (৮) মতো এবারও ব্যর্থ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ১ রানের ব্যবধানে সাদমানের পর তিনিও ফিরলেন মাত্র ১ রান করে।
এরপর মুমিনুল-মুশফিক ১৬৭ বলে গড়েন ১২৩ রানের জুটি। দারুণ বোঝাপড়া দ্রুতগতিতে রান তুলেছেন অভিজ্ঞ দুই তারকা। ১১৮ বলে ১০টি চারের সাহায্যে ৮৭ রান করেছেন মুমিনুল। পেয়েছেন টেস্টের ২৫তম হাফসেঞ্চুরি। মুশফিক ২৮তম টেস্ট ফিফটির পর ৮১ বলে ২ চার ও এক ছক্কায় ৫৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।

মুমিনুল আউট হওয়ার পরেই ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। এর মধ্যেই ৫০৮ রানের লিড পায় টাইগাররা। ৫০৯ রানের লক্ষ্যে আয়ারল্যান্ডের শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ২৬ রানের মাথায় ২ উইকেট হারায় সফরকারীরা। শুরুতেই জোড়া উইকেট তুলে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি বনে যান তাইজুল ইসলাম।
পরে আরেকটি উইকেট তুলে মোট ৩টি সাফল্যের সাক্ষী হয়েছেন এই বাঁহাতি স্পিনার। এছাড়া হাসান মুরাদ ২টি, খালেদ আহমেদ একটি উইকেট শিকার করেন। আয়ারল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন হ্যারি টেক্টর। ৩৪ রানে অপরাজিত রয়েছেন কার্টিস ক্যাম্ফার। জয়ের জন্য শেষদিনে সফরকারীদের প্রয়োজন আরও ৩৩৩ রান।
এমআই