গুঞ্জনটা আগেই চাউর হয়েছিল। অবশেষে সেটাই সত্যি হলো। বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের নেতৃত্বভার ছেড়ে দিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। অর্থাৎ, আগামী মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে শান্তের পরিবর্তে টি-টোয়েন্টির নতুন অধিনায়ক দেখবে বাংলাদেশ দল। ক্রিকেটবিষয়ক গণমাধ্যম ক্রিকবাজ তাদের এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। 

বিসিবির শীর্ষ এক কর্তা ক্রিকবাজকে জানায়, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ‘নাজমুল হোসেন শান্ত অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করবেন না। বিষয়টি তিনিই আমাদের জানিয়েছেন। আমরা সেটা মেনেও নিয়েছি। তবে নতুন অধিনায়কত্ব নিয়ে আমরা এখনই ভাবছি না। কারণ আমাদের কাছাকাছি সময়ে কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ নেই।’ 

গত দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের পর থেকেই তিন সংস্করণের অধিনায়কত্ব ছাড়তে চেয়েছিলেন শান্ত। তবে বিসিবি প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদের সমঝোতায় শান্তকে অধিনায়ক করে আফগান সিরিজে দল পাঠানো হয়। যদিও ইনজুরির কারণে আফগানদের বিপক্ষে পুরো সিরিজ খেলতে পারেননি এ বাঁহাতি ব্যাটার। এমনকি ক্যারিবিয়ান সিরিজও মিস করেছেন তিনি। তাতে শান্তের অবর্তমানে টেস্ট এবং ওয়ানডের দায়িত্ব সামলেছেন মেহেদি মিরাজ।

তবে ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফিরলে লম্বা সংস্করণের ম্যাচে শান্তই অধিনায়ক থাকবেন বলে জানিয়েছে বিসিবি। তাতে আগামী চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিবেন রাজশাহীর সন্তান। বিষয়টি নিশ্চিত করে বিসিবি কর্তা ক্রিকবাজকে বলেন, ‘কোনো ইনজুরি সমস্যা না থাকলে নাজমুল টেস্ট ও ওয়ানডে ফরম্যাটে অধিনায়ক থাকবে। এই বিষয়ে আমাদের কথা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, সাকিব আল হাসানের চোটে গত ওয়ানডে বিশ্বকাপেই বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোম ও অ্যাওয়ে দুই সিরিজেও অধিনায়ক ছিলেন এই তরুণ। চৌকস নেতৃত্বে নজরও কাড়েন সবার। তারপর গত বছর ফেব্রুয়ারিতে তাকে তিন সংস্করণের অধিনায়ক করে বিসিবি। কিন্তু এক বছর না যেতেই আবারও একাধিক অধিনায়কের পথেই পা বাড়াতে হচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে।

এদিকে টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব নিয়ে বিসিবি তেমন করে কিছু না জানালেও অধিনায়কত্বের দৌড়ে এগিয়ে থাকবেন লিটন দাস। কারণ লিটনের নেতৃত্বে সম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। লিটনের পাশাপাশি মিরাজ-তাসকিনদের নাম আসতে পারে এ তালিকায়। তবে টি-টোয়েন্টিতে অনিয়মিত মিরাজ এবং চোটপ্রবণ তাসকিন স্বাভাবিকভাবেই লিটন থেকে পিছিয়ে থাকবেন। 

অধিনায়কের দায়িত্বভার লিটন না পেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কারণ, ব্যাট হাতে বড় রান সংকটে ভুগছেন এ ব্যাটার। এমনকি প্রধান নির্বাচক দল থেকে বিশ্রাম দেওয়ার হুমকিও দিয়েছিলেন লিটনকে। তাতে অফফর্মে ভোগা লিটনের ওপর বাড়তি চাপ না দেওয়া হতে পারে। যদিও সবকিছু নির্ভর করছে লিটনের বিপিএল এবং চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পারফরম্যান্সের ওপর।

তবে শেষ পর্যন্ত টাইগারদের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক কে হচ্ছেন, তা জানতে আরও অপেক্ষা করতে হবে। কারণ, বাংলাদেশ দলের পরবর্তী টি-টোয়েন্টি ম্যাচ আগামী মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত হবে। ঘরের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডের পাশাপাশি তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবে লিটন-সৌম্যরা।

এমআই