
বিপিএলে দল না পেয়ে আফসোসে ভুগছেন সাদমান
খেলা ডেস্ক
০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:৩৭
চলছে বিপিএলের একাদশ আসর। চার-ছক্কার হইহুল্লোড়ে মেতেছে দেশের ক্রীড়াঙ্গান। রাজধানীর প্রথম পর্ব শেষে চা বাগানের দেশ কাঁপছে ব্যাট-বলের ঝড়ে। ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের সাথে বেড়েছে দেশের ক্রিকেটারদের ব্যস্ততা। এতসব আয়োজন আর উৎসবের ঢামাঢোলের মাঝে মিরপুরের জিম আর ইনডোরে নীরবে সময় কাটাচ্ছেন টাইগারদের টেস্ট ওপেনার সাদমান ইসলাম।
চলতি বিপিএলে সাদমান ইসলামের প্রতি আগ্রহ দেখায়নি কোনো দল। এমনকি গত পাঁচ বছর ধরে একই কারণে বিপিএলে খেলা হয়নি এ ক্রিকেটারের। সাদমানের দল না পাওয়ার পেছনে অবশ্য বড় কারণ ‘টেস্ট ব্যাটার’ ট্যাগ পাওয়া। টেস্টের ব্যাটার হওয়ায় কারণেই কি সাদমান ইসলামকে দলে নিচ্ছে না ফ্র্যাইঞ্চাইজিগুলো? এই উত্তরটাই খুঁজছেন তিনিও।
গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হতাশা প্রকাশ করে সাদমান বলেন, ‘চার-পাঁচ বছর হয়েছে, বিপিএল খেলা হয় না। আফসোস তো অবশ্যই লাগে। সবাই খেলে, আমি খেলতে পারছি না।’
টেস্ট ক্রিকেটে সাদমানের অভিষেকটা হয়েছিল ২০১৮ সালে। পারফরম্যান্স চলনসই বলা চলে। তবে দীর্ঘ সময় ধরে সাদা পোশাকের ক্রিকেট খেলা এ ওপেনার কখনোই ডাক পাননি সাদা বলের ক্রিকেটে। এটাই মূলত কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে সাদমানের জন্য। রঙিন জার্সির ক্রিকেট না খেলা সাদমানকে আমলে নিচ্ছে না ফ্র্যাঞ্চাইজি দল। তাতে ২০২০ সালে সবশেষ বিপিএল খেলেছিলেন সাদমান ইসলাম।
দল না পাওয়ার আরেকটি কারণ হতে পারে বিশ ওভারের ক্রিকেটে তার পরিসংখ্যান। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১৬ ইনিংস খেলে ১৬ গড়ে ২৬১ রান করেছেন সাদমান, স্ট্রাইক রেট মাত্র ৯৩! টপঅর্ডারে খেলা কোন ব্যাটারের এমন গড়-স্ট্রাইকরেট দেখে আগ্রহ না দেখানোটাই স্বাভাবিক। এমনকি বিপিএলেও ৯ ম্যাচ খেলা এ ব্যাটারের গড়-স্ট্রাইকরেটে খুব একটা পার্থক্য দেখা যায়নি।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে খেলেছিলেন সাদমান ইসলাম। ৫ ইনিংসে এক ফিফটিতে করেছেন ৯৫ রান। একজন ওপেনারের এমন ব্যাটিং অবশ্যই আশাজাগানিয়া নয়। এনসিএলে ব্যাট হাতে ভালো করতে না পারার কারণটা অবশ্য পরিষ্কার করেছেন এ বাঁহাতি ওপেনার।
তিনি বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে সিরিজ খেলে এসে এনসিএল টি-টোয়েন্টি খেলা হয়েছে। নিজেকে যদি আগে থেকে প্রস্তুত করে রাখতে পারতাম, তাহলে হয়তো আরেকটু ভালো ফল আসতো। আমি সব সময় চেষ্টা করি, পাওয়ার হিটিং বা বড় বড় রান করে প্রিমিয়ার লিগটায় ভালো করার। এ বছর থেকে চেষ্টা থাকবে নিজেকে এভাবে তৈরি করার।’
এমআই