বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চলতি আসরে ঢাকা ক্যাপিটালসের হয়ে খেলছেন মিডল অর্ডার ব্যাটার সাব্বির রহমান। শৃঙ্খলা বিতর্কে শুরুর দিকে একাদশে সুযোগ না পেলেও পরবর্তীতে একাদশে জায়গা পেয়ে নিজের জাত চিনিয়েছেন তিনি। শাকিব খানের দলের হয়ে ৪০ গড়ে ১৬২ রান করেছেন সাব্বির রহমান। যেখানে ৩ বাউন্ডারি বিপরীতে হাঁকিয়েছেন ১৭ ছক্কা। স্ট্রাইক রেটটাও চোখে পড়ার মতো, ১৭৬!

বিপিএলে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম করায় পুনরায় জাতীয় দলে ফিরতে আত্মবিশ্বাসী এই ব্যাটার। ফলে ঘরোয়া টুর্নামেন্টে নিজেকে প্রমাণ করে জাতীয় দলকে অন্তত পাঁচ থেকে সাত বছর সেবা দিতে চান দর্শক প্রিয় সাব্বির রহমান। সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাব্বির জাতীয় দলে ফেরার প্রত্যাশা এবং প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলেন।

সাব্বির বলেন, ‘সবকিছু আল্লাহর উপর নির্ভর করে। কঠোর পরিশ্রম আর প্রস্তুতিতে মনোযোগ দিয়েছি। বিপিএলে আমার পারফরম্যান্স দেখাতে পেরেছি। এখনও আমাদের দু'টি ম্যাচ বাকি আছে, সেই ম্যাচগুলোতেও ভালো খেলার চেষ্টা করব। এই ফর্ম ধরে রাখাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’ 

বিপিএলে ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের দলে খেলছেন সাব্বির রহমান। প্রথম ছয় ম্যাচের সব কটিতে হেরে প্লে-অফের দৌড় থেকে অনেকটা ছিটকে পড়ে রাজধানীর ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। সর্বশেষ চার ম্যাচের তিনটিতে জিতলেও তাদের প্লে-অফে খেলা অনেক যদি-কিন্তু ওপর নির্ভর করছে। লিগ পর্বে দলটির শেষ দুই ম্যাচ বরিশাল ও খুলনার বিপক্ষে। বাকি থাকা ম্যাচগুলো দারুণভাবেই শেষ করতে চান সাব্বির রহমান। 

প্লে-অফে খেলার স্বপ্ন দেখা সাব্বির বলেন, ‘বিপিএল একটি দলগত খেলা। আমাদের এখনও দুটি ম্যাচ বাকি। প্লে-অফে জায়গা পেতে হলে সেগুলোতে জয়ী হতে হবে এবং অন্য দলের ফলাফলের দিকেও নজর রাখতে হবে। যদি দল হিসেবে খেলি, তবে জয় অসম্ভব কিছু নয়।’  

দীর্ঘসময় জাতীয় দলের বাহিরে থাকলেও এখনো ফেরার স্বপ্ন দেখেন সাব্বির রহমান। এজন্য নিজ খরচে রাজশাহীর মাঠে দৈনিক ১২ ঘণ্টা অনুশীলন করছেন তিনি। জাতীয় দলে ফেরার দৃঢ় প্রত্যয়ে তাঁকে পূর্ব অভিজ্ঞতা বেশ সাহায্য করছে বলে মনে করছেন ৩২ বছর বয়সী এ ক্রিকেটার।

সাব্বির বলেন, ‘জাতীয় দলে আমার এখনও অনেক কিছু দেওয়ার বাকি। অন্তত পাঁচ থেকে সাত বছর দেশের হয়ে খেলতে চাই। এজন্য রাজশাহীর মাঠে প্রতিদিন সকাল ৫টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নিজ উদ্যোগে অনুশীলন করেছি। এতে অনেক অর্থও বিনিয়োগ করতে হয়েছে। তবে জাতীয় দলে এর আগে সাত বছর খেলার অভিজ্ঞতা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে।’

এমআই