সাদা বলের ক্রিকেটে খেই হারিয়েছিলেন টাইগার বোলার শরিফুল ইসলাম। বাইশ গজে শেষ কয়েক ম্যাচে আশানুরূপ উইকেট তুলতে পারেননি, উল্টো দেধারসে রান বিলিয়েছেন। বাজে ফর্মটা অব্যাহত ছিল চলতি বিপিএলেও। টুর্নামেন্টের শুরুর ম্যাচগুলোতে আশানুরূপ পারফরম্যান্স করতে পারেননি এই পেসার। ফলে ভুগেছে তার দল চিটাগং কিংস।

বল হাতে বাজে সময় পার করায় শরিফুলের জায়গা হয়নি আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির স্কোয়াডে। এরপরই যেন নড়েচড়ে বসেছেন দীর্ঘদেহী এই পেসার। মিতব্যয়ী বোলিংয়ের পাশাপাশি দলকে এনে দিয়েছেন কার্যকরী ব্রেক থ্রু। গতকাল মিরপুরে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে শরিফুল প্রতিপক্ষের জন্য ছিলেন মূর্তিমান আতঙ্ক।

জাকের আলীদের বিপক্ষে মাত্র ৫ রান দিয়ে শিকার করেছেন ৪ উইকেট। বিপিএল ইতিহাসে এত কম রানে ইনিংসে ৪ উইকেট শিকার করতে পারেননি আর কেউই। শরিফুলের দুর্দান্ত বোলিংয়ে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৯৬ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে চিটাগাং কিংস। তাতে দলটি কোয়ালিফাইয়ের পাশাপাশি সেরা দুইয়ে পা রাখার দৌড়েও এক পা দিয়ে রেখেছে।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে নিজের বোলিং নিয়ে শরিফুল বলছিলেন, ‘শুরুতে (ভালো) হচ্ছিল না আমি কিছুটা ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। পরে কোচ আমার সাথে ইতিবাচকভাবে মিটিং করে। আমার উপর বিশ্বাস রাখে। সাথে নাসু (নাসির আহমেদ) ভাইও। বলে যে যত ম্যাচ খেলবা তত ছন্দ আসবে। অইটা নিয়েই কাজ করছিলাম। বেশি বেশি নতুন বলে বল করছিলাম। এখন আলহামদুলিল্লাহ চলে আসছে।’

বাজে ফর্ম নিয়ে শরিফুল আরও বলেন, ‘আসলে ইঞ্জুরির পর থেকে এফোর্টটা একটু কম হচ্ছিল। বডিটা একটু আগে পড়ে যাচ্ছিল। সেটা নিয়েই (কাজ করেছি) প্র্যাকটিসে।’

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে জায়গা পাননি শরিফুল। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আল্লাহ যখন যা রিজিকে লিখে রাখসে সেটাই হবে। আগে পরে বিষয় না। (আগে করলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সুযোগ) (হাসি) জানি না, আফসোস নাই। আল্লাহ হয়ত ভালো কিছুই লিখে রাখসে কপালে ইনশাল্লাহ।’

‘না আলহামদুলিল্লাহ খারাপ লাগছে না। আলহামদুলিল্লাহ অনেক খুশি। আল্লাহ যেটা কপালে রাখসে সেটাই হবে। আল্লাহর উপর ভরসা আছে। প্রথমে খারাপ খেলে এখন ভালো এজন্য খুশি।’-যোগ করেন তিনি।

এমআই