Advertisement
Us Bangla Airlines
এবার পুলিশের হেফাজতে রাজশাহীর মালিক শফিকুর রহমান

এবার পুলিশের হেফাজতে রাজশাহীর মালিক শফিকুর রহমান

খেলা ডেস্ক

০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৭:১০

বিপিএলে প্রথমবারের মতো অংশ নিয়েছিল দুর্বার রাজশাহী। স্বল্প বাজেটের দল হিসেবে মন্দ খেলেননি দলটির ক্রিকেটার তাসকিন-বিজয়রা। তবে মাঠের চেয়েও বাইশ গজের বাইরে ‘দুর্বার’ সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন রাজশাহীর মালিক শফিকুর রহমান। এর মধ্যে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক ইস্যু ছিল সবচেয়ে বড় মুখ্য বিষয়। খেলোয়াড়দের টাকা না দেওয়ায় চট্টগ্রাম পর্ব থেকেই সমালোচনায় ডুবেছে দলটি।

বিপিএলে দুর্বার রাজশাহীর দৌড় ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। তবে এতেও যেন দলটি নিয়ে বিতর্ক থামছে না। কারণ, একাধিকবার খেলোয়াড়দের বেতন পরিশোধে চেক প্রদান করলেও সেখানে ঘটেছে চেক বাউন্সের ঘটনা। বিদেশি ক্রিকেটারদের ঢাকা ত্যাগ নিয়েও ছিল নানা নাটকীয়তা। যদিও শেষ পর্যন্ত রাজশাহী কর্তৃপক্ষ জানায়, একে একে সব ক্রিকেটারদেরই নিজ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে তারা। 

এরইমাঝে পারিশ্রমিক বিতর্কে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সঙ্গেও বৈঠক হয়েছে দুর্বার রাজশাহী ফ্র্যাঞ্চাইজির। যেখানে আশ্বাস দেয়া হয়েছিল ২ ফেব্রুয়ারির মাঝেই সব ক্রিকেটারের বেতন পরিশোধ করা হবে। কিন্তু সেটাও করেনি দলটির মালিক শফিকুর রহমান। ফলে রাজশাহীর মালিকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। 

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দিনের প্রথম প্রহরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে নেয়া হয় রাজশাহী মালিক শফিকুর রহমানকে। সঙ্কট নিরসনে সমাধান জানতে চাইলে, নিজের দোষ স্বীকার করেন তিনি। পাশাপাশি ২৫ শতাংশ হারে ৩, ৭ এবং ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তিন কিস্তিতে দলের সমস্ত পাওনা পরিশোধ করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। 

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোঃ নূর আলম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ক্রীড়া উপদেষ্টাকে ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দলের ৫০ শতাংশ পাওনা পরিশোধের আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবে আলোর মুখ দেখেনি, বরং গণমাধ্যমে উঠে এসেছে অনিয়মের নানান অভিযোগ। বিভিন্ন মাধ্যম থেকে ফ্রাঞ্চাইজি মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করার খবরও কানে আসলে, দেশের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে বিষয়টি আরো গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে মন্ত্রণালয়। এছাড়াও বিভিন্ন মাধ্যমে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকের পালিয়ে যাবার গুঞ্জন উঠলে হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয় সরকার।

এমআই