
ফাইনালে চিটাগংয়ের রান পাহাড়, বরিশালের প্রয়োজন ১৯৫ রান
খেলা ডেস্ক
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২:৫১
মাঠে নামার আগে দুঃসংবাদ দিয়েছিল চিটাগং কিংস। আগের ম্যাচের নায়ক আলিসকে ইনজুরির কারণে ফাইনালে পাচ্ছে না দলটি। অন্যদিকে সাত নাম্বারে একজন ব্যাটারের আক্ষেপ নিয়ে খেলছে চিটাগং কিংস। এত সীমাবদ্ধতার মাঝে অবিশ্বাস্য শুরু এনে দিয়েছেন বন্দর নগরীর দুই ওপেনার খাজা নাফে এবং পারভেজ হোসেন ইমন। শিরোপা নির্ধারণের ম্যাচে তারা করেছেন ওপেনিং পার্টনারশিপের রেকর্ড।
নাফে-ইমনের লম্বা জুটিতে ১৯৪ রানের সংগ্রহ পায় চিটাংগং কিংস। যেখানে শুরুর তিন ব্যাটারই খেলেছেন দারুণ ইনিংস। তবে শেষটা ভালো করতে পারেনি মিথুনের দল। বরিশালের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে স্লগ ওভারের সবশেষ চার ওভারে করেছে মাত্র ৩১ রান। তাতে দুইশ হওয়ার আগেই থামে চিটাগংয়ের ইনিংস। যা ফাইনাল ম্যাচের তৃতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ।
এদিকে মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে আজ (শুক্রবার) টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তামিমের সিদ্ধান্তকে অবশ্য স্বাগত জানাতে পারেননি বরিশালের বোলাররা। নাফে-ইমনের ১২১ রানের ওপেনিং জুটির পর প্রথম উইকেটের দেখা পায় বরিশাল।
চিটাগংয়ের হয়ে শুরু থেকে আগ্রাসী ছিলেন দলটির দুই ওপেনার। তাতে পাওয়ার প্লের প্রথম ৬ ওভারে বিনা উইকেটে ৫৭ রান করেন এই দুই ক্রিকেটার। নির্ধারিত পাওয়ার প্লে শেষেই বলকে যেন কচুকাটা করেছেন খাজা নাফে। এবাদতের বলে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৭ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় ৬৬ রান করেন এই পাকিস্তানি ওপেনার।
ওপেনিংয়ের সতীর্থ হারালেও ম্যাচের শেষ পর্যন্ত টিকে ছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন। ৭ বাউন্ডারি আর ৪ ছক্কায় ৪৯ বলে ৭৮ রান করেন টাইগার ওপেনার। চিটাগংয়ের হয়ে তিনে নামা গ্রাহাম ক্লার্কও এদিন রান পেয়েছেন। ২৩ বলে ৪৪ রান করেছেন এই ইংলিশ টপ অর্ডার ব্যাটার।
ইনিংসের শেষ ওভারে রান আউটের শিকার হন ক্লার্ক। এরপর তরুণ ব্যাটার শামীমকে নামিয়ে আলোর মুখ দেখেনি চিটাগং। মোহাম্মদ আলীর ফুলটস বলে মাত্র ২ রান করে আউট হয়েছিল এই বাঁহাতি ব্যাটার। শেষ ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করেন বরিশালের হিডেন তারকা মোহাম্মদ আলী। উইকেট তোলার পাশাপাশি মাত্র ৬ রান খরচ করেছেন তিনি।
বরিশালের হয়ে ১টি উইকেট পান এবাদত এবং আলী। একইসময়ে ২ ওভারে ৪০ রান বিলিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম।
এমআই