Advertisement
Us Bangla Airlines
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের বিস্ময়কর যত রেকর্ড

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের বিস্ময়কর যত রেকর্ড

খেলা ডেস্ক

১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:৩৯

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শুরুর ইতিহাসের সাথে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের নাম। ১৯৯৮ সালে উইলস ইন্টারন্যাশনাল কাপ নামে এই টুর্নামেন্ট যাত্রা শুরু করে। যার আয়োজক ছিল বাংলাদেশ। অবশ্য সেবার আয়োজক হলেও অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায়নি টাইগাররা। তবে এর পরবর্তী আসরেই বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল।

২০০০ সালে নাইমুর রহমান দুর্জয়ের নেতৃত্বে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলে বাংলাদেশ। নকআউট পর্বের সেই আসরে ইংল্যান্ডের সাথে হেরে বিদায় নিয়েছিল টাইগাররা। পরবর্তী দুই আসরে বাংলাদেশ অংশ নিলেও জয়ের দেখা পায়নি। তবে ২০০৬ সালে এসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম জয়ের দেখা পায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

আট জাতির এই টুর্নামেন্ট এরপর একাধিকবার আয়োজিত হলেও বাংলাদেশের খেলার সুযোগ হয়নি। সবশেষ ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলে বাংলাদেশ। মাশরাফির নেতৃত্বে সেই আসরে কার্ডিফে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে স্মরণীয় জয় উপহার দেন সাকিব-রিয়াদ। এক ম্যাচ জিতেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিতে খেলে টাইগাররা। যা বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ অর্জন।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি কোথায়, কীভাবে দেখবেন?

পরিসংখ্যান হিসাব করলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের আহামরি কোনো অর্জন নেই বললেই চলে। ৫ আসরে ১২ ম্যাচ খেলে বাংলাদেশের জয় মাত্র ২টি। যেখানে ৯ হারের বিপরীতে ১টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। সংখ্যার পাতায় মনে না রাখার মতো এই টুর্নামেন্টের রেকর্ড খাতায় রয়েছে বাংলাদেশি ক্রিকেটারের নাম। যেসব নাম শুনলে বিস্ময় জাগতে পারে ক্রীড়া প্রেমীদের মনে।

ব্যাটিং গড়

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ব্যাটিং গড় কার? হালের ক্রিকেট ভক্ত হলে তামিম ইকবালের নামটাই মনে আসার কথা। সবশেষ আসরে সেরা ৫ ব্যাটারদের একজন ছিলেন এই বাঁহাতি ওপেনার। তবে সঠিক উত্তরটি তামিম নয়। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ব্যাটিং গড় শাহরিয়ার নাফিসের। তিন ম্যাচ খেলা এই বাঁহাতির ব্যাটিং গড় ৮৩।

বোলিং গড়

বাংলাদেশের হয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সবশেষ দুই আসর খেলেছিলেন সাকিব আল হাসান। ব্যাটে-বলে সমানতালে পারফর্ম করতে পারা এই ক্রিকেটার খেলেছেন মোট ৭ ম্যাচ। তবুও বোলিং গড়ে সাকিবের অবস্থান ১৩তম। অর্থাৎ এই তালিকায় সাকিব বেশ পিছিয়ে। তবে তালিকার শীর্ষে থাকা নামটি একটু বিস্ময়কর, মোহাম্মদ আশরাফুল। ব্যাটার হিসেবে পরিচয় পেলেও দলের প্রয়োজনে হাত ঘুরাতেন আশরাফুল। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে তার বোলিং গড় ৮.৬৬।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির চূড়ান্ত স্কোয়াড: যারা ফিরলেন, যারা বাদ পড়লেন

সর্বোচ্চ ম্যাচ

আট বছর পর শুরু হওয়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ম্যাচ কে খেলেছেন? অনুমাননির্ভর উত্তর হলে ভুল করার সম্ভাবনা বেশি। কারণ তিনি পঞ্চপাণ্ডবের কেউ নন। তিনি বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট। অবশ্য তার রেকর্ডে ভাগীদার আছেন আরেকজন, মোহাম্মদ রফিক। উভয় ক্রিকেটার আট জাতির এই টুর্নামেন্টে লাল-সবুজের জার্সিতে মোট ৮টি ম্যাচ খেলেছেন।

একমাত্র গোল্ডেন ডাক

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ডাক মারার রেকর্ড অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ক্রিকেটার শেন ওয়াটসনের। এরপরের অবস্থানটা অবশ্য বাংলাদেশি ক্রিকেটারের। ‘মিস্টার ফিফটি’ খ্যাত টাইগারদের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন এই লজ্জার রেকর্ডের দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছেন। আইসিসির এই টুর্নামেন্টে ৫ ম্যাচ খেলা সুমন ৩ ম্যাচেই ডাক মেরেছেন। এমনকি বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র গোল্ডেন ডাকের রেকর্ড রয়েছে তার নামের পাশে।

৩০০ করেও পরাজয়

আধুনিক ক্রিকেটের ওয়ানডে সংস্করণে ৩০০ রান বড় কিছু নয়। তবে ৮ বছর আগেও ৩০০ রান ক্রিকেটের বড়সড় স্কোর। কিন্তু  ৩০০-এর বেশি রান করেও ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ হেরেছিল মাশরাফির দল। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ৩০০-এর বেশি রান করে তিনটি দল হেরেছে। বাংলাদেশ ছাড়া বাকি দুই দল হলো- ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা।

বাংলাদেশ ম্যাচের টিকিট নিয়ে কাড়াকাড়ি

সাকিবের ‘১’

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে সাকিব আল হাসানের বোলিং প্রতিপক্ষের জন্য জটিল সমীকরণ। প্রতিটি দেশের সাথেই বল হাতে ফাইফার নেওয়ার অসাধারণ কীর্তি রয়েছে সাকিবের দখলে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সেই সাকিব বল হাতে যেন নিষ্ফলা নাম। টুর্নামেন্টটিতে দুই আসরে ৭ ম্যাচ খেলে মাত্র ১ ম্যাচে উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩ উইকেট পাওয়া সেই ম্যাচে অবশ্য বাংলাদেশই জিতেছিল।

অতিরিক্ত ‘৩৬’

পর্যাপ্ত পাওনার পর অতিরিক্ত পেতে কার-না ভালো লাগে! ক্রিকেটের অতিরিক্ত পাওনা হলো প্রতিপক্ষ দলের নিয়ম বর্হিভূত বোলিং। ২০০৬ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৬টি অতিরিক্ত রান পেয়েছিল বাংলাদেশ দল। যা এই টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এক ইনিংসে তৃতীয় সর্বোচ্চ অতিরিক্ত রান দেওয়ার ঘটনা। লঙ্কানরা এত অতিরিক্ত রান বিলালেও বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি হেরেছিল ৩৭ রানে।

এমআই