Advertisement
Us Bangla Airlines
গড় ১০, স্ট্রাইক রেট ৭৯- তবুও টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক সালমান আলী!

গড় ১০, স্ট্রাইক রেট ৭৯- তবুও টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক সালমান আলী!

খেলা ডেস্ক

১২ মার্চ ২০২৫, ২০:২৪

পাকিস্তান ক্রিকেট যেন ইদানীং রঙ্গমঞ্চে পরিণত হয়েছে। হুটহাট অধিনায়ক বদল, মুহুর্তেই কোচ পরিবর্তন, সিনিয়র ক্রিকেটারদের অসম্মান করা যেন পাকিস্তানের নিত্যকার কাহিনী। আইসিসির সবশেষ তিনটি প্রতিযোগিতায় নকআউট পর্বে জায়গা করে নিতে ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান। প্রতিটি টুর্নামেন্ট থেকে লজ্জাজনক বিদায়ের পর জোরেশোরে দলে পরিবর্তনের আওয়াজ উঠেছে।

সম্প্রতি সমাপ্ত হওয়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে পাকিস্তানের অবস্থা ছিল লেজেগোবরে। কিউইদের বিপক্ষে ধরাশায়ী হওয়ার পর ভারতের বিপক্ষে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিল রিজওয়ানের দল। এরপর সমালোচনার বন্যা দেখা মিলেছে পাকিস্তানের গণমাধ্যমে। এমনকি সাবেক ক্রিকেটাররা বাবর-রিজওয়ানদের ধুয়ে দিয়েছেন। 

সিনিয়র ক্রিকেটারদের ব্যর্থতায় পরিবর্তনের নতুন গল্প নিয়ে এগিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। দেশটির টি-টোয়েন্টি দল থেকে বাবর আজম এবং মোহাম্মদ রিজওয়ানের মতো তারকা ক্রিকেটারকে বাদ দেওয়া হয়েছে। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে অধিনায়ক হয়েছেন সালমান আলী আঘা। এছাড়া সহ-অধিনায়ক হয়েছেন দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাহিরে থাকা শাদাব খান।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে যেভাবে জড়িয়ে পাকিস্তান

পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দলে মাত্র ৬ ম্যাচ খেলেই অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পেয়েছেন সালমান আলী আঘা। ডানহাতি ব্যাটিং অলরাউন্ডারের পরিসংখ্যান বেশ নাজুক। ৬ ম্যাচে করেছেন মোটে ৫০ রান, স্ট্রাইক রেট মাত্র ৭৯। এমন পরিসংখ্যানের একজন ব্যাটারকে অধিনায়ক বানিয়ে বেশ সমালোচনায় ভুগছে পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ড।

পিসিবির কড়া সমালোচনা করেছেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি শহিদ আফ্রিদি। পাকিস্তানের ক্রিকেট ব্যবস্থাপনার একে অন্যকে দোষারোপের কৌশলের সমালোচনা করে সাবেক এই ক্রিকেটার বলেন, ‘আমাদের ক্রিকেট কীভাবে আগাবে যখন অধিনায়ক ও কোচের মাথার ওপর সবসময়ই একটা খড়গ ঝুলছে।’

ভুলভাল সিদ্ধান্তের কারণে পাকিস্তানের ক্রিকেট এখন আইসিইউতে চলে গেছে দাবি করে আফ্রিদি বলেন, ‘আমরা সবসময় প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলি এবং যখন কোনো ইভেন্ট আসে আর আমরা তাতে ব্যর্থ হই, তখন আমরা অস্ত্রোপচারের কথা বলি। সত্যিটা হচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট ভুল সিদ্ধান্তের কারণে এখন আইসিইউতে আছে।’

‘পাকিস্তান ক্রিকেটে কোনো ধারাবাহিকতা নেই, বোর্ডের সিদ্ধান্ত ও পরিকল্পনায় কোনো দৃঢ়তাও নেই। আমরা অধিনায়ক, কোচ এবং কিছু খেলোয়াড়কে পরিবর্তন করছি কিন্তু দিনশেষে বোর্ডের কর্মকর্তাদের দায়বদ্ধতা কোথায়?’- যোগ করেন তিনি।

বাজে ফর্মে পাকিস্তান জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছিলেন শাদাব খান। ঘরোয়া ক্রিকেটে এর মাঝে আহামরি কিছু করেননি এই ক্রিকেটার। তবুও তাকে দলে এনে সহ-অধিনায়ক পদ দেওয়া হয়েছে। পিসিবির এমন অদূরদর্শী সিদ্ধান্তে চটেছেন আফ্রিদি। তিনি বলেন, ‘তাকে কোন বিবেচনায় ফের ডাকা হয়েছে? ঘরোয়া ক্রিকেটে তার পারফরম্যান্স কী ছিল, অথবা তাকে কীসের ভিত্তিতে নেয়া হলো?’

এমআই