
সালাহউদ্দিনের যে বিষয়ে মুগ্ধ শান্তদের প্রধান কোচ
খেলা ডেস্ক
০৪ এপ্রিল ২০২৫, ১৮:৫৫
গুরুতর অভিযোগে লঙ্কান মাস্টারমাইন্ড চন্ডিকা হাথুরুসিংহকে গত বছর বরখাস্ত করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিকে সামনে রেখে এরপর শান্তদের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে নিয়োগ পান ফিল সিমন্স। মাত্র কয়েক মাস সুযোগ পাওয়া কোচ সিমন্সের অবদান বলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও বেশ নাজুক ছিল সিমন্সের শিষ্যরা। ভারত, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ধরাশায়ী হয়ে দেশে ফিরেছে তারা। তবুও সেই সিমন্সে আস্থা রাখছে ফারুক আহমেদের বোর্ড। ওয়ানডে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে আগামী দুই বছরের নিয়োগ পেয়েছেন এই ক্যারিবিয়ান কোচ। সিমন্সের সঙ্গে মেয়াদ বাড়ছে জাতীয় দলে সিনিয়র সহকারী কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের।
বিভিন্ন বরাতে জানা গেছে, দেশি কোচদের প্রাধান্য দেন বলেই সিমন্সের ওপর আস্থা রাখছে বিসিবি। একইসঙ্গে জাতীয় দলের কোচিং প্যানেলে আরও দেশি কোচ যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে ক্রিকেট বোর্ডের। সবমিলিয়ে সিমন্সের মেয়াদ আরও ২ বছর বাড়িয়েছে ফারুক আহমেদের বোর্ড।
স্থানীয় কোচদের নিয়ে সন্তুষ্ট টাইগার হেড কোচ ফিল সিমন্সও। দেশি কোচ সালাহউদ্দিনের কাজের ধরণ দেখে মুগ্ধ হয়েছেন তিনি। দেশের একটি পত্রিকাতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সালাউদ্দিনের কোচিং নিয়ে কথা বলেছেন এই ক্যারিবিয়ান।
সিমন্স বলেন, ‘সালাহউদ্দিন তার কাজ জানে, কোচিং জানে। সব কোচই কোচিং জানে। তবে সালাহউদ্দিনের যে বিষয় আমাকে মুগ্ধ করেছে, খেলোয়াড়দের সঙ্গে তার কাজের ধরনটা। খেলোয়াড়দের সঙ্গে সে যতটা পারে, একেবারে সোজাসাপ্টা। তবে তাদের অনেক সাহস জোগায়। কীভাবে আরও উন্নতি করা যায়, সে চেষ্টাই করে। তবে কঠোর হতে হলে অনেক কঠোর হতে পারে। একটা জাতীয় দলে কোচিং করাতে হলে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
দেশি কোচের সঙ্গে টাইগার অধিনায়ক নিয়ে প্রশংসা ঝরেছে সিমন্সের কণ্ঠে। নাজমুল শান্তকে নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় শান্ত একজন নেতা। তার নেতৃত্বের ধরন দারুণ। কারণ, খেলোয়াড়েরা তাকে অনেক সম্মান করে। সতীর্থরা ওর সঙ্গে বসতে পারে, মন খুলে কথা বলতে পারে। কিছু নেতা, কিছু অধিনায়ক থাকে, যাদের কাছে খেলোয়াড়েরা খুব একটা যায় না। কিন্তু খেলোয়াড়েরা তার কাছে যেতে পারে, কথা বলতে পারে। তাকে ভরসা করতে পারে, তার নেতৃত্বের ধরনে আস্থা রাখতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শান্ত এমন একজন নেতা, সে জানে কীভাবে তার সতীর্থদের নেতৃত্ব দিতে হবে। যতটুকু সময় ওকে দেখেছি, ভালো মনে হয়েছে। একজন অধিনায়কের কাছে এটাই তো চাইতে পারি, দলের খেলোয়াড়েরা যেন তার সঙ্গে মন খুলে কথা বলতে পারে। অধিনায়কের মাঠের কাজটা আসলে নির্ভর করে আশপাশে থাকা সিনিয়র খেলোয়াড়দের ওপর। অধিনায়কের কাজটা তখন অনেক সহজ হয়।’
এমআই