Advertisement
Us Bangla Airlines
এমবাপের গোল-অ্যাসিস্টে জামার্নির হার, তৃতীয় ফ্রান্স

এমবাপের গোল-অ্যাসিস্টে জামার্নির হার, তৃতীয় ফ্রান্স

খেলা ডেস্ক

০৮ জুন ২০২৫, ২২:০৫

শক্তির জায়গাটাই যেন হারিয়ে ফেলেছে জার্মানি। লং পাসের জন্য বিশ্বজুড়ে নামডাক থাকলেও ফ্রান্সের বিপক্ষে তার খুব একটা দেখা মিলেনি। তাতে বল দখলেও ফরাসিদের কাছে একাধিকবার হার মেনেছে রবিন কচরা। ফলে ঘরের মাঠে উয়েফা নেশনস লিগের তৃতীয় স্থান নির্ধারণীতে পরাজয় গুণতে হয়েছে তাদের।

স্টুটগার্টে রোববার এমবাপেদের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরেছে জার্মানি। অবশ্য গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেন ফরাসিদের আক্রমণ সামাল না দিতে পারলে হারের ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারতো। তবে রক্ষণ বিভাগের দুর্বলতা আর ফরাসিদের টানা আক্রমণে ধরাশায়ীই হয়েছে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানি।

ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে পারেনি জামার্নির রক্ষণভাগ। পুরো ম্যাচে এই ফরোয়ার্ড জার্মানিকে চাপে রেখেছেন। এমনকি ম্যাচের ৪৫ মিনিটে এমবাপের পা থেকে প্রথম গোলের দেখা পেয়েছে ফ্রান্স। অহেলিয়া চুয়ামেনির ক্রস ডান পায়ের শটে জালে জড়িয়ে প্রথমার্ধেই গোল করেন তিনি।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে অবশ্য গোলের দেখা পেয়েছিল জার্মানি। ভিএআরের চেকে ফাউল ধরা পড়ায় সেই গোল বাতিল করে দেন ম্যাচ রেফারি। ফলে সমতায় ফেরার উচ্ছ্বাস হারায় জার্মানি।

ম্যাচের ৬৯তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারত। কিন্তু মার্কোস থুরামের কোনাকুণি শটে ক্ষিপ্রতায় ঝাঁপিয়ে গ্লাভসের টোকায় কোনো মতে ক্লিয়ার করেন মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন। এরপর এমবাপের ফ্লিক দারুণ রিফ্লেক্সে কর্নার করে দেন তিনি। তবে ৮৪ মিনিটে ফরাসিদের আক্রমণ আর সামলাতে পারেনি টের স্টেগেন।

ফরাসিদের হয়ে সেবারও আক্রমণ করেন কিলিয়ান এমবাপে। তবে গোল নিশ্চিত করতে টের স্টেগেনকে একা পেয়েও শট নেননি রিয়াল তারকা। বরং অন্য প্রান্তে থাকা ওলিসেকে বল বাড়িয়ে দিয়ে গোল করিয়েছেন এমবাপে। শেষ পর্যন্ত ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ফ্রান্স।

ম্যাচে বল দখল ও আক্রমণের দিক থেকে ম্যাচে জার্মানি এগিয়ে থাকলেও ফ্রান্স ছিল কার্যকরী এবং গোলসংখ্যায় জয়ী। জার্মানি ম্যাচজুড়ে ৯টি কর্নার কিক আদায় করে নেয়, যেখানে ফ্রান্স করে ৬টি। প্রথমার্ধেই জার্মানি ছিল তুলনামূলক সক্রিয় তাদের ছিল ৫টি কর্নার, ফ্রান্সের ৩টির বিপরীতে। 

মোট শটের দিক দিয়ে জার্মানি বেশ এগিয়ে ছিল। তারা নেয় ২০টি শট, যেখানে ফ্রান্স নেয় ১৫টি। তবে গোলপোস্টের শটে এগিয়ে ছিল ফ্রান্স (৮টি), জার্মানির শট ছিল ৬টি। টার্গেট শটে জার্মানির সংখ্যা ছিল অনেক বেশি— ১৪টি, বিপরীতে ফ্রান্সের ছিল ৭টি। ব্লকড শটেও জার্মানি ছিল এগিয়ে (৭ বনাম ২)।

বল দখলে জার্মানি নিয়ন্ত্রণ রাখে ৫৬ শতাংশ সময়, প্রথমার্ধেও তাদের দখল ছিল ৫৩ শতাংশ। তারা মোট ৪৮৪টি পাস করে, যার মধ্যে সফলতা ছিল ৯০ শতাংশ। অন্যদিকে ফ্রান্সের পাস সংখ্যা ছিল ৩৯১টি, সফলতার হার ছিল ৮৫ শতাংশ।

রক্ষণভাগে দুই দলেরই সমান দৃঢ়তা দেখিয়েছে। উভয় দল ৬টি করে সেভ করেছে। তবে ট্যাকলে জার্মানি এগিয়ে (১৮ বনাম ১৭), যদিও সফল ট্যাকলের ক্ষেত্রে দু’দলই ১৭টি করে সফল ট্যাকল করে। ড্রিবলে ফ্রান্স (৮) কিছুটা এগিয়ে ছিল জার্মানির (৫) চেয়ে। থ্রো ইন, ইন্টারসেপশন এবং লং পাসেও ব্যবধান ছিল। 

জার্মানি করে ১৮টি থ্রো ইন ও ১০টি ইন্টারসেপশন, যেখানে ফ্রান্স করে যথাক্রমে ১২ ও ৭টি। লং পাসের ক্ষেত্রে ফ্রান্স অনেক বেশি সক্রিয়। তাদের লং পাস ছিল ৩২টি, জার্মানির ছিল ১৮টি। নিজেদের শক্তির জায়গাতেই ফরাসিদের কাছে পিছিয়ে পড়েছে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।

এমআই