
তৃষ্ণার হ্যাটট্রিকে ৮-০ গোলে জিতল বাংলাদেশ
খেলা ডেস্ক
০৮ আগস্ট ২০২৫, ১৭:৪৩
এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পর্বে দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছে বাংলাদেশ। লাওসকে হারিয়ে অভিযান শুরু করেছিল আফিদা-সাগরিকারা। দ্বিতীয় ম্যাচে সেই জয়ের ধারা ধরে রেখে তিমুর লেস্তেকে ৮-০ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছেন দলের ফরোয়ার্ড তৃষ্ণা। তাঁর পাশাপাশি সাগরিকা, নবিরুন, শিখা, শান্তি ও মুনকি একটি করে গোল করেছেন। দুই অর্ধেই বাংলাদেশ ৪টি করে গোল করে। প্রথমার্ধে তৃষ্ণার গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আবারও গোল করেন তিনি।
৫৩ মিনিটে করেন নিজের দ্বিতীয় এবং দলের পঞ্চম গোল। আর ৮৩ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন তৃষ্ণা রাণী সরকার। সেই গোলের বড় অবদান ছিল সাগরিকার। ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষককে কাটিয়ে বল ঠেলে দেন গোলমুখে। ফাঁকা পোস্টে প্লেসিংয়ে বল জালে পাঠান তৃষ্ণা।
৭২ মিনিটে দুর্দান্ত একক প্রচেষ্টায় গোল করেন মোসাম্মৎ সাগরিকা। মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি। আগের ম্যাচে লাওসের বিপক্ষেও জোড়া গোল করেছিলেন এই ফরোয়ার্ড।
ম্যাচের সবচেয়ে দর্শনীয় গোলটি করেন শান্তি মারডি। ৩২ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে নেয়া তাঁর কর্নার কিক সরাসরি জালে ঢোকে—যা ফুটবল পরিভাষায় ‘অলিম্পিক গোল’ নামে পরিচিত। শান্তির কর্নার কিকে প্রতিপক্ষের কেউ বল স্পর্শ করতে পারেনি। গোলরক্ষকও বলের ফ্লাইট মিস করলে সেটি সাইড পোস্ট ঘেষে জালে জড়ায়।
তিন মিনিট পর আরও একটি কর্নার থেকে আসে গোল। আবারও কর্নার নেন শান্তি, এবার হেড করে লক্ষ্যভেদ করেন নবিরুন খাতুন। প্রথমার্ধে বাংলাদেশের চার গোলের তিনটিই আসে কর্নার থেকে। ২০ মিনিটে বা প্রান্ত থেকে স্বপ্না রানীর কর্নার কিক হেডে জালে জড়ান শিখা। ডান প্রান্তে কর্নারগুলো নিয়েছেন শান্তি, আর বাঁ প্রান্তেরটা স্বপ্না।
দ্বিতীয়ার্ধের চারটি গোলই এসেছে ওপেন প্লে থেকে—যা আফিদাদের ভারসাম্যপূর্ণ আক্রমণের প্রমাণ। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক লাওসকে ৩-১ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। দুই ম্যাচ শেষে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট এবং ১০ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে তারা।
গ্রুপের শেষ ম্যাচ শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে। কোরিয়ার বিপক্ষে পয়েন্ট পাওয়া কঠিন হলেও, লক্ষ্য হবে ভালো গোল ব্যবধান রেখে রানার্সআপ হয়ে থাকা। আট গ্রুপ থেকে সেরা তিন রানার্সআপ দল পাবে মূল পর্বে খেলার সুযোগ। তাই এখন বাংলাদেশের লক্ষ্য সেই তালিকায় থাকা।
এমআই