Advertisement
Us Bangla Airlines
আরেকটি এশিয়ান কাপ খেলতে বাংলাদেশের সামনে যে সমীকরণ

আরেকটি এশিয়ান কাপ খেলতে বাংলাদেশের সামনে যে সমীকরণ

খেলা ডেস্ক

০৯ আগস্ট ২০২৫, ১৫:৫৬

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সামনে আরেকটি ইতিহাস গড়ার সুযোগ। গত মাসেই এশিয়ান কাপের মূল পর্ব নিশ্চিত করা সিনিয়র দলের পথ ধরে এবার এগিয়ে যাচ্ছে অনূর্ধ্ব-২০ নারী দলও। এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে দুর্দান্ত খেলেই এখন তারা দাঁড়িয়ে আছে চূড়ান্ত পর্বে খেলার দ্বারপ্রান্তে।

এইচ গ্রুপে লড়াই করছে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ হিসেবে রয়েছে এশিয়ার অন্যতম পরাশক্তি দক্ষিণ কোরিয়া। দুই দলেরই পয়েন্ট সমান ৬, গোল ব্যবধানও সমান ১০। কিন্তু গোলের সংখ্যা বাংলাদেশের বেশি (১১ বনাম ১০)। ফলে গ্রুপের শেষ ম্যাচে ড্র করলেই বাংলাদেশ হবে চ্যাম্পিয়ন।

এইচ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হলেই বাংলাদেশ সরাসরি খেলবে এশিয়ান কাপের মূল পর্বে। দক্ষিণ কোরিয়া নারী ফুটবলে নামী দল হলেও বাছাইয়ের প্রথম দুই ম্যাচে তাদের পারফরম্যান্সে প্রত্যাশার তুলনায় ঘাটতি ছিল। বিশেষ করে লাওসের বিপক্ষে মাত্র ১-০ গোলে জয় সেই আভাসই দিয়েছে। আর এই লাওসকেই বাংলাদেশ হারিয়েছে ৫-০ ব্যবধানে।

সাগরিকার জোড়া গোলে এশিয়ান মঞ্চে বাংলাদেশের দারুণ শুরু!

তবে ম্যাচে হেরে গেলেও বাংলাদেশের সামনে থাকবে আরেক পথ—সেরা তিন রানার্সআপ হিসেবে মূল পর্বে জায়গা করে নেওয়া। এজন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে বাকি গ্রুপগুলোর ফলাফলের। আট গ্রুপের মধ্যে ডি গ্রুপ ইতোমধ্যেই ছিটকে গেছে রানার্সআপ দৌড় থেকে, কারণ ওই গ্রুপের দ্বিতীয় দলের পয়েন্ট সর্বোচ্চ হতে পারে ৪।

এই দৌড়ে বাংলাদেশের বড় প্রতিদ্বন্দ্বী দক্ষিণ কোরিয়া, চাইনিজ তাইপে, লেবানন, ইরান, জর্ডান ও সম্ভবত ভিয়েতনাম। এর মধ্যে জর্ডান (+১১) ও কোরিয়া (+১০) গোল ব্যবধানে কিছুটা এগিয়ে। বাংলাদেশের সম্ভাব্য পরাজয়ের পর তাদের গোল ব্যবধান +৯ কিংবা এর নিচে নামতে পারে। ফলে তখন গোল ব্যবধান ও মোট গোল সংখ্যা—দুটিই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।

এ গ্রুপে উত্তর কোরিয়া ফেভারিট; নেপালের বিপক্ষে জিতলে তাদের ৯ পয়েন্ট হবে, নেপাল থেমে যাবে ৪ পয়েন্টে। বি গ্রুপে ভিয়েতনামের ছয় পয়েন্ট, শেষ ম্যাচ কিরগিজস্তানের সঙ্গে। হেরে গেলে রানার্সআপ হয়ে যাবে, তবে গোল ব্যবধানে তারা বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে। 

শ্রীলঙ্কাকে ৫-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে বাংলাদেশ

সি গ্রুপে অস্ট্রেলিয়া ও তাইপে, ই গ্রুপে চীন ও লেবানন—দুই গ্রুপেই শেষ ম্যাচ নির্ধারণ করবে কে চ্যাম্পিয়ন আর কে রানার্সআপ। লেবানন কিংবা তাইপে হেরে গেলে তাদের রানার্সআপ হলেও গোল ব্যবধান কমে যাবে, যা বাংলাদেশের জন্য সুবিধার।

এফ গ্রুপে জাপান ও ইরান—জাপান ফেভারিট ধরা হলে ইরান রানার্সআপ হয়ে বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারে। তবে গোল ব্যবধান +৫ হওয়ায় এখানেও বাংলাদেশ খানিকটা এগিয়ে। সবচেয়ে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বী জি গ্রুপের রানার্সআপ। জর্ডান ও উজবেকিস্তান দুই দলই ৬ পয়েন্টে। 

ম্যাচটি ড্র হলে জর্ডান গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে রানার্সআপ হয়ে সেরা তিনে জায়গা নিশ্চিত করতে পারে।

সব মিলিয়ে মাঠের খেলায় এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের অবস্থান অনেকটাই স্বস্তিদায়ক। কোরিয়ার বিপক্ষে ড্র করলেই নিশ্চিত হয়ে যাবে চূড়ান্ত পর্ব। তবে হারলেও আশার আলো নিভে যাবে না, তবে তখন হিসাব-নিকাশের খাতা খুলতে হবে। গোলের পার্থক্য, প্রতিপক্ষের ফলাফল—সব কিছু মিলে দাঁড়াবে এক অঙ্কের খেলায়।

এমআই