Advertisement
Us Bangla Airlines
দোকান মুক্ত হচ্ছে মিরপুর ক্রিকেট স্টেডিয়াম

দোকান মুক্ত হচ্ছে মিরপুর ক্রিকেট স্টেডিয়াম

খেলা ডেস্ক

১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৫:২৪

স্টেডিয়ামের পাশে দোকানপাটের বাণিজ্য নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে আলোচনা হচ্ছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে। সম্প্রতি দোকান ভাড়ার অনিয়ম নিয়ে বিশাল অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির কথা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারর যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এসব অনিয়ম দেখে তিনি বলেছিলেন, ‘তাকে কেউ দুর্নীতির মহাসাগরে ছেড়ে দিয়েছে।’

ক্রীড়া উপদেষ্টার এই পোস্টের পরে নড়েচড়ে বসে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। দেশের স্টেডিয়ামগুলোকে বাণিজ্যিক স্থাপনামুক্ত করতে চায় সংস্থাটি। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপও হাতে নিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। শিগগিরই মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামকে দোকান মুক্ত করতে চলেছে পরিষদ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘২০২৬ সালের পর নতুন করে মিরপুর স্টেডিয়ামের দোকানগুলোর সঙ্গে আর চুক্তি নবায়ন করা হবে না। ফলে বাণিজ্যিক স্থাপনামুক্ত হবে ক্রিকেট স্টেডিয়াম। পর্যায়ক্রমে ধীরে ধীরে সব স্টেডিয়াম থেকে দোকান সরিয়ে নেওয়া হবে।’

এদিকে গুলিস্তানে অবস্থিত জাতীয় স্টেডিয়ামের প্রবেশপথ প্রশস্ত করতে দুটি দোকান সরিয়ে নিতে ইতোমধ্যে চিঠি দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। এছাড়া অগোছালোভাবে ব্যবসায়ী পণ্য রাস্তার ওপর রেখে সাধারণের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে, নষ্ট হচ্ছে স্টেডিয়ামের সৌন্দর্য। 

মিরপুর স্টেডিয়ামের নিচে ফার্নিচারের দোকান খুলে বসেছে ব্যবসায়ীরা। ক্রিকেটারদের ফার্নিচারের দোকান পাড়ি দিয়ে অনুশীলনে যেতে হয়। অন্যদিকে গুলিস্তানের জাতীয় স্টেডিয়ামের নিচে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক দোকানের পসরা বসেছে। এসব দোকানের কারণে খেলোয়াড়দের স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।

এর আগে ক্রীড়া উপদেষ্টার ফেসবুক পোস্টে স্টেডিয়াম সংলগ্ন দোকানের ভাড়া নিয়ে অনিয়ম ও দুনীর্তির খবর জানা যায়। আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘এনএসসির অধীনে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের দোকান পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। ২০-২২ টাকা প্রতি বর্গফুট হিসেবে এনএসসির কাছে ভাড়া গেলেও সরেজমিনে গিয়ে জানতে পারলাম দোকানদাররা প্রতি বর্গফুট ১৭০-২২০ টাকা করে ভাড়া দিচ্ছেন। বিশাল অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছে সরকার।’

‘অর্থাভাবে ফেডারেশন চলছে না, টুর্নামেন্ট হয় না, মাঠের সংস্কার হয় না। অথচ বছরের পর বছর এভাবেই হাজার হাজার কোটি টাকা চুরি গেছে’- যোগ করেন তিনি।

এমআই