Advertisement
Us Bangla Airlines
বিসিবিতে হঠাৎ কেন অভিযান চালালো দুদক?

বিসিবিতে হঠাৎ কেন অভিযান চালালো দুদক?

খেলা ডেস্ক

১৫ এপ্রিল ২০২৫, ১৫:০০

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নানান অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অবস্থিত বিসিবির কার্যালয়ে উপস্থিত হন দুদকের তিন সদস্যের একটি বিশেষ দল। অভিযান শেষে তারা গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে দুদক কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘দুদকের প্রধান কার্যালয়ের থেকে আমরা অভিযান পরিচালনার জন্য আজকে এখানে এসেছি। অভিযোগটির মূল বিষয় ছিল যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বিভিন্ন ক্রিকেট লীগের বাছাইপ্রক্রিয়ায় দুর্নীতি। অবৈধ অর্থসহ নানাবিধ দুর্নীতি এবং অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজকে মূলত এই এনফোর্সমেন্ট অভিযানটি।’

তিনি বলেন, ‘তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে ২০২৩ এর দল বাছাই নিয়ে আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ ছিল। বিগত বছরগুলোতে কিভাবে হয়েছে সেটা আমরা এখানে এসে দেখেছি। তাদের আবেদন ফি নিয়ে আমরা যাচাই-বাছাই করেছি।’

মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘থার্ড ডিভিশন দলের আবেদনের জন্য ফি নির্ধারণ ছিল ৫ লাখ টাকা। তখন এখানে দুইটা অথবা তিনটা দল আবেদন করত। তা থেকেই তারা বাছাই করত দুইটা দল বা একটা দল। এবার ফি যখন এক লাখ টাকা করে দিল তখন ৬০টা দল আবেদন করেছে। আমরা ডকুমেন্ট সংগ্রহ করেছি। এই জিনিসগুলো আমরা এখন যাচাই-বাছাই করব।’

দুদকের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আরও একটা ব্যাপার ছিল যে টিকিট বিক্রির বিষয়টি। বিপিএলের তৃতীয় আসর থেকে দশম আসার পর্যন্ত জানেন যে.... বিসিবির অন্যান্য এর থেকে টিকিট সেলিং এর একটা ইনকাম আছে। সেখানে দেখা গেছে যে গত ৮ আসরে ১৫ কোটি টাকা আয় দেখানো হয়েছে।’

‘এবার যখন বিসিবি নিজেরা টিকিট বিক্রি করল এবার ১১তম আসরে তখন দেখা গেল যে আয় ১৩ কোটি টাকা প্রায়। এতেই বোঝা যায়, আগে কোনোভাবে সঠিক হিসাব প্রকাশ হয়নি'- যোগ করেন তিনি।

এছাড়া মুজিব শতবর্ষে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু প্রিমিয়ার লিগেও (বিপিএল) অর্থ নয়-ছয়ের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। বিশেষ সে আসর আয়োজনে ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল বিসিবিতে। সেখানে খরচ দেখানো হয়েছে ২৫ কোটি টাকা। কিন্তু মাত্র ৭ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী দুদক কর্মকর্তা।

এমআই