Advertisement
Us Bangla Airlines
প্রতিপক্ষের প্রতি আর কত দয়া দেখাবেন রিশাদ

প্রতিপক্ষের প্রতি আর কত দয়া দেখাবেন রিশাদ

খেলা ডেস্ক

০২ জুন ২০২৫, ১৬:২৯

বাংলাদেশে লেগ স্পিনারের সংকট ছিল দীর্ঘদিনের। যার অভাব কিছুটা হলেও পূরণ করেছেন রিশাদ হোসেন। গেল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট পেয়েছেন এই লেগি। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে বিগব্যাশ, পিএসএলের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে ডাক পেয়েছেন রিশাদ হোসেন।

পিএসএলে প্রথমবার খেলতে গিয়ে সাত ম্যাচে ১৩ উইকেট নিয়েছেন বাংলাদেশি লেগ স্পিনার। তবে শেষের ম্যাচগুলোতে বেশ খরুচে হয়ে পড়ছিলেন রিশাদ হোসেন। প্লে-অফে তিন ওভারে ৩৩ রান খরচ করার পর ফাইনাল ম্যাচে চার ওভারে বিলিয়েছেন ৪২ রান। যদিও উভয় ম্যাচে উইকেট পেয়েছেন রিশাদ।

কেন ক্ষমা চাইলেন রিশাদ হোসেন?

পিএসএলে খেলার অভিজ্ঞতা নিয়েও পাকিস্তান সিরিজে মোটেও ভালো করতে পারেননি এই লেগ স্পিনার। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে চার ওভারে ৫৫ রান দিয়েছেন রিশাদ। দ্বিতীয় ম্যাচে চার ওভারে ৫০ এবং তৃতীয় ম্যাচে তিন ওভারে ৩৯ রান খরচ করেছেন ২২ বছর বয়সী এ ক্রিকেটার।

বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে কোনো ক্রিকেটার পরপর দুই ম্যাচে ৫০ রান খরচ করেননি। পাকিস্তানের বিপক্ষে রিশাদই প্রথম এই লজ্জার খাতায় নাম লেখালেন। শেষ ম্যাচে চার ওভার বল করলে হয়তো আরেকটি ম্যাচেও ৫০-এর ঘর ছুঁতেন তিনি।

ভরসার প্রতীক রিশাদের রেকর্ড গড়া বছর

কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশের ১৫ জন বোলার ৫০ বা তার বেশি রান বিলিয়েছেন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ চারবার পঞ্চাশের বেশি রান খরচ করেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। এছাড়া তিনবার ৫০ এর বেশি রান খরচ করেছেন রুবেল, তানজিম, সাইফউদ্দিন এবং রিশাদ হোসেন।

লজ্জার এই রেকর্ডে নাম লেখাতে রিশাদ বল করেছেন মোটে ৩৪ ইনিংস। এর মধ্যে পাকিস্তান সিরিজে প্রতিপক্ষের প্রতি রান খরচে বেশ দয়া দেখিয়েছেন রিশাদ। তিন ম্যাচ খেলা এই লেগস্পিনার ১১ ওভার বল করেছেন। তাতে ৬৬ বলে খরচ করেছেন ১৪৪ রান।

দেদারসে রান বিলানোর সিরিজের ওভার প্রতি ১৩ রানের বেশি ব্যয় করেছেন রিশাদ। তিন ম্যাচে দুই উইকেট শিকার করা রিশাদের এ সিরিজে বোলিং গড় ছিল ৭২। পাকিস্তান-বাংলাদেশ সিরিজে অন্তত এক উইকেট পেয়েছেন এমন বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে রান ব্যয় করেছেন রিশাদ হোসেন।

প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের প্রতি রিশাদের এত দয়াপরবশ হওয়ার পরেও তার প্রতি আস্থা রাখছেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স। ম্যাচ শেষে রিশাদের হয়েই কথা বলেছেন তিনি।

ফিল সিমন্স বলেন, ‘রিশাদের সেরা সিরিজ যায়নি। আমরা জানি, সেও এটা জানে। আমরা তার কাছে আরও বেশি প্রত্যাশা করি। তবে বোলারদের সিরিজ খারাপ যেতেই পারে। তার একটি খারাপ সিরিজ গিয়েছে। সে কাজ চালিয়ে যাবে এবং শ্রীলঙ্কা সিরিজের জন্য প্রস্তুত হবে।’

টি-টোয়েন্টিতে ব্যয়বহুল ১১ বোলিং স্পেল

খেলোয়াড় ওভার রান উইকেট ইকোনমি বিপক্ষ
তানজিম হাসান সাকিব ৪.০ ৬৬ ১৬.৫০ ভারত
রুবেল হোসেন ৪.০ ৬৩ ১৫.৭৫ ওয়েস্ট ইন্ডিজ
মাশরাফি বিন মুর্তাজা ৪.০ ৬৩ - ১৫.৭৫ পাকিস্তান
শরিফুল ইসলাম ৪.০ ৫৭ - ১৪.২৫ ভারত
ফরহাদ রেজা ৪.০ ৫৫ ১৩.৭৫ পাকিস্তান
মোহাম্মদ আশরাফুল ৪.০ ৫৫ ১৩.৭৫ ওয়েস্ট ইন্ডিজ
মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ৪.০ ৫৫ ১৩.৭৫ জিম্বাবুয়ে
রিশাদ হোসেন ৪.০ ৫৫ ১৩.৭৫ ভারত
মাহেদী হাসান ৪.০ ৫৫ ১৩.৭৫ ইউএই
তানজিম হাসান সাকিব ৩.৫ ৫৫ ১৪.৩৪ ইউএই
রিশাদ হোসেন ৪.০ ৫৫ ১৩.৭৫ পাকিস্তান

এমআই