
৪১৫৪ দিন পর এমন ম্যাচ জয় দেখলো ক্রিকেট বিশ্ব
খেলা ডেস্ক
০৩ জুন ২০২৫, ১৮:৪৫
নেপালের বিপক্ষে রানের পাহাড় গড়েছিল স্কটল্যান্ড। জিততে হলে ইতিহাসই গড়তে হতো এশিয়ার দলটির। তবে এতটা নাটকীয়তার জন্ম দিয়ে নেপাল জিতবে, তা হয়তো কল্পনাও করেনি কেউ। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে গতকাল এক বল ও এক উইকেট হাতে রেখে ইতিহাস গড়ে ম্যাচ জিতেছে নেপাল ক্রিকেট দল।
আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ লিগ টু ২০২৩-২৭ এর ম্যাচে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় নেপাল। আগে ব্যাট করা স্কটল্যান্ড নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেটে তোলে ২৯৬ রান। ৭২ বলে ৮০ রান করেন চার্লি টিয়ার, ফিফটি করেন ফিনালে ম্যাকগ্রা। এছাড়াও ৪০ রান করেন অধিনায়ক রিচি বেরিংটন।
জবাবে ভালোই শুরু পেয়েছিল নেপাল। উদ্বোধনী জুটি থেকেই এসেছিল ৭২ রান। ফিফটি করে আউট হয়েছেন ওপেনার কুশল ভুরতেল। এরপর কাপ্তান রোহিতকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের কাজে লাগেন ভীম শাকরি। কিন্তু দলীয় ১৫২ রানের শাকরি আউট হলে নেপালের ব্যাটিংয়ে ধস নামে।
১৫২ রানে দুই উইকেট থেকে নেপালের স্কোর দাঁড়ায় ৩৮.২ ওভারে ৭ উইকেটে ১৯২ রানে। তাতে ম্যাচের শেষটা দেখে ফেলেছেন অনেকে। কিন্তু হাল ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন ৯ নম্বরে ব্যাট করতে নামা অলরাউন্ডার করন কেসি। গুলশানের সঙ্গে ৬০ রানের জুটি গড়েন তিনি।
এরপর বাকি দুই লোয়ার অর্ডারকে সঙ্গে নিয়ে এক বল ও এক উইকেট হাতে রেখে নেপালকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
— CAN (@CricketNep) June 3, 2025
স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে এই জয়ে ইতিহাস রচনা করেছে নেপাল। ওয়ানডে ক্রিকেটে এত রান তাড়া করে এবারই প্রথম জিতল তারা। দলের ইতিহাস গড়ার দিনে অবিশ্বাস্য কীর্তিতে নাম লেখালেন অলরাউন্ডার করন কেসি। ৫৪ বছরের ওয়ানডে ইতিহাসে যে কীর্তিতে দ্বিতীয় তিনি।
৫০ ওভারের ক্রিকেটে ৯ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে এখন পর্যন্ত সাতজন ব্যাটার ৬৫ বা তার বেশি রান করেছেন। তবে রান তাড়ার ইনিংসে ৬৫ বা তার বেশি রান করে দলকে জিতিয়েছেন দুইজন ব্যাটার। উভয়ই আবার ফাস্ট বোলিং অলরাউন্ডার।
২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৯ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৬৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অলরাউন্ডার জেমস ফকনার। ইংলিশদের বিপক্ষে শেষদিকে একাই লড়ে দলকে জিতিয়েছেন এই অলরাউন্ডার।
ফকনারের পর দ্বিতীয় ব্যাটার ৯ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৬৫ বা তার বেশি রান করে দলকে জিতিয়েছেন করন কেসি। সময়ের হিসাবে দুই ম্যাচের মধ্যে ব্যবধান ৪ হাজার ১৫৪ দিন। রান তাড়ায় এমন চমক দেখার ক্রিকেট বিশ্বকে পুনরায় কতদিন অপেক্ষা করতে হবে, সেটা সময়ই বলে দিবে।
এমআই