
হাথুরুকে সরাতে কলকাঠি নাড়েন তামিম, দাবি সাকিবের!
খেলা ডেস্ক
০৬ জুন ২০২৫, ১২:৩০
চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে তামিম ইকবালের সম্পর্ক আগে থেকেই শীতল ছিল। প্রকাশ্যে কিছু না বললেও হাথুরুর ওপর বরাবরই নাখোশ ছিলেন তামিম। লঙ্কান মাস্টারমাইন্ড বাংলাদেশে দ্বিতীয় মেয়াদে ফেরার পর ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলতেই যেতে পারেননি দেশসেরা ওপেনার।
অতীতের কড়া মাস্টারগিরি, বিশ্বকাপে সুযোগ না পাওয়া- সবমিলিয়ে হাথুরুর ওপর তামিমের ক্ষোভ অবাস্তব কিছু নয়। তবে সেটা মেটাতে লঙ্কান কোচকে বাংলাদেশ দল থেকে সরিয়ে দিতে কলকাঠি নেড়েছেন তামিম ইকবাল। বিসিবির তদন্ত প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে দলের হতাশাজনক পারফর্মেন্সের কারণ অনুসন্ধানে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছিল। সেই কমিটিতে কাজ করেছিলেন তামিমের চাচা আকরাম খান এবং সাবেক ক্রিকেট অপারেশনস চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। তদন্ত কমিটির কাছে একে একে কারণ বর্ণনা করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
কমিটির কাছে সাকিব বলেন, চেন্নাইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচে হাথুরুসিংহে নাসুমকে থাপ্পড় মারার অভিযোগ নিয়ে সৃষ্ট বিতর্ককে তামিম এবং জালাল ইউনুস কাজে লাগিয়েছেন। তার দাবি অনুসারে, প্রধান কোচের বিরুদ্ধে ইস্যু তৈরির জন্য ঘটনাটি ইচ্ছাকৃতভাবে মিডিয়াতে ফাঁস করেছিলেন এ দুই জন।
২০২৩ বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল তামিমের। কিন্তু আফগান সিরিজে আচমকা দল থেকে অবসরের ঘোষণা দেন এ বাঁহাতি ওপেনার। এরপর নানা নাটকীয়তা শেষে পুনরায় দলে ফেরেন তামিম। কিন্তু ফিটনেস এবং পারফরম্যান্সের কারণে তামিমকে ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন ও কম ম্যাচ খেলতে বলা হয়।
বিষয়টি তামিম ভালোভাবে নেননি। অন্যদিকে, কোচ-অধিনায়কের কথা না মানায় তামিমকে বাদ দিয়ে বিশ্বকাপে যায় বাংলাদেশ। সেই বিশ্বকাপের আগে গণমাধ্যমে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দেন সাকিব ও তামিম। তাতে ক্রিকেটারদের ড্রেসিংরুমের অবস্থারও অবনতি হয়। বিশ্বকাপে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের দেখা মিলে।
বিশ্বকাপের আগে অধিনায়কত্ব হারানো এবং শেষমেশ খেলতে না যাওয়ায় হাথুরুর ওপর ক্ষোভ উগড়ে দেন তামিম। ফলে নাসুমের চড় কাণ্ডের ইস্যু ধরে বাংলাদেশের সাবেক কোচকে হেনস্তা করতে তামিম জলঘোলা করেছেন বলে দাবি করেছেন সাকিব আল হাসান।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান (জালাল ইউনুস) এবং তামিম ইকবাল নাসুমকে চড় মারার অভিযোগটি সামনে এনেছিলেন এবং মিডিয়ায় ফাঁস করেছিলেন; যাতে তাকে বরখাস্ত করা যায়। ফিল্ডিং কোচ শেন ম্যাকডারমট এবং স্ট্রেন্থ ও কন্ডিমনিং কোচ নিকোলাস লি এই ঝগড়ার বিষয়ে জানতেন।’
প্রায় দুই বছর পর বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলেও এ বিষয়ে এখনো তামিমের বক্তব্য জানা যায়নি। এমনকি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পরেও কেন বিষয়টি গণমাধ্যমে জানায়নি বিসিবি, তাও অনেকটা স্পষ্ট হয়ে গেছে। তবে বিশ্বকাপের ড্রেসিংরুমকে ‘বিভক্ত এবং বিষাক্ত’ হিসেবে বর্ননা করেছে তদন্ত কমিটি।
এমআই