
টাকা নিয়ে ওমানের নয়ছয়, দেশছাড়া হলেন ক্রিকেটাররা
খেলা ডেস্ক
০৭ জুন ২০২৫, ২০:১৪
আইসিসি থেকে প্রাইজমানি পেয়েছে বোর্ড। নিয়ম মোতাবেক, সেই টাকা ক্রিকেটারদের মধ্যে বণ্টন করে দেওয়ার কথা। কিন্তু বছর ঘুরলেও নিজেদের ক্রিকেট বোর্ড থেকে কোনো অর্থ পাননি ওমানের ক্রিকেটাররা। বরং নিজেদের প্রাপ্য টাকা খুঁজতে চাকরি হারিয়েছেন। এমনকি দেশ পর্যন্ত ত্যাগ করতে হয়েছে।
২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিল মধ্যপ্রাচের উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশ ওমান। সহযোগী দেশ হিসেবে বিশ্বমঞ্চে সুযোগ পাওয়াই অনেক বড় বিষয়। তাতে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মতো বাঘা বাঘা দলের বিপক্ষে কোনো ম্যাচ না জিতেই গ্রুপ পর্বের ম্যাচ শেষ করেছিল ওমান।
ম্যাচ না জিতলেও টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের জন্য র্যাঙ্কিংয়ের ১৩ থেকে ২০তম স্থানে থাকা দলগুলোকে ২ লাখ ২৫ হাজার মার্কিন ডলার দিয়েছিল আইসিসি। নিয়ম অনুযায়ী, টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার ২১ দিনের মধ্যে প্রাইজমানির অর্থ সংশ্লিষ্ট বোর্ডের মাধ্যমে খেলোয়াড়দের কাছে পৌঁছানোর কথা। তবে প্রায় ১ বছর পেরিয়ে গেলেও ওমান এখনো ক্রিকেটারদের সেই অর্থ দেয়নি।
উল্টো দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের কাছে টাকা চাইতে গিয়ে হেনস্তা আর হয়রানির শিকার হয়েছেন ক্রিকেটাররা। ইএসপিএন ক্রিকইনফোর এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে তাদের এই মর্মান্তি পরিণতির খবর।
ওমান দলের ওপেনার কাশ্যপ প্রজাপতি বলেন, ‘এই ঘটনার কারণে আমাদের জীবন, ক্যারিয়ার, সব এলোমেলো হয়ে গেছে। দল থেকে বাদ পড়েছি, চুক্তি বাতিল হয়েছে, কেউ কেউ ওমান ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। বোর্ড তো টাকা দেয়ইনি, আইসিসিও নিশ্চিত করতে পারছে না আমরা সেটা পাবো কিনা!’
আইসিসির সহযোগী এই দেশের খেলোয়াড়দের দাবি, ২০২১ সালের বিশ্বকাপেও তারা জানতেন না বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের জন্য কোনো প্রাইজমানি বরাদ্দ থাকে। ২০২৪ বিশ্বকাপে খেলার পর বিদেশি দলগুলোর খেলোয়াড়দের কাছ থেকেই প্রথম জানতে পারেন বিষয়টি।
বোর্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার কারণে অনেকে স্কোয়াড থেকেই বাদ পড়েছেন। ইমার্জিং এশিয়া কাপে খেলতে অস্বীকৃতি জানালে কিছু খেলোয়াড়কে হোটেল ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়। ওমানের হয়ে খেলা ফাইয়াজ বাট বলেন, ‘এই ঘটনায় আমার ক্যারিয়ার শেষ। এখন ওমানে নেই, চাকরিও নেই। খেলোয়াড় হিসেবে আমি শেষ হয়ে গেছি।’
এমআই